সি চিন পিং এবং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ‘বড় পরিবার’
২০২০ সালের নভেম্বরে, ভিডিও-লিঙ্কের মাধ্যমে এসসিও শীর্ষসম্মেলনে অংশগ্রহণের সময়, প্রথমবারের মতো এসসিও কাঠামোর মধ্যে একটি "নিরাপত্তার অভিন্ন কল্যাণের সমাজ" গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন সি চিন পিং:
“আমাদের অবশ্যই একটি সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তা ধারণা অনুসরণ করতে হবে এবং কার্যকরভাবে বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে, আইন অনুযায়ী, প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি, রাজনৈতিক নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দৃঢ়ভাবে দেশগুলোকে সমর্থন করি, এবং যে-কোনো অজুহাতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করি।”
এসসিও-র ছয় প্রতিষ্ঠাতাসদস্য প্রাচীন সিল্ক রোড বরাবর অবস্থিত, যা পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, সি চিন পিং "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগের যৌথ বাস্তবায়নকে, চীন ও অন্যান্য এসসিও দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক কল্যাণ ও বাস্তবসম্মত সহযোগিতাকে ক্রমাগত শক্তিশালী করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা পয়েন্ট হিসাবে গ্রহণ করে আসছেন, যা এসসিওর উন্নয়নে স্থিতিশীল গতি প্রদান করেছে।
চীন-কিরগিজস্তান-উজবেকিস্তান রেলওয়ে চীন ও এসসিও দেশগুলোর যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়নের একটি ছোট্ট উদাহরণ। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে, এসসিও "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এ সময় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রাণশক্তি উদ্দীপিত হয়েছে, এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর সমন্বিত উন্নয়নের বিস্তৃত সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
সি চিন পিং বারবার ক্রমবর্ধমান এসসিও-কে একটি "বড় পরিবার" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। বর্তমানে, এসসিও-র ৯টি সদস্যদেশ, ৩টি পর্যবেক্ষকদেশ এবং ১৪টি সংলাপ-অংশীদার রয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা।
“আজকের বিশ্ব বিশৃঙ্খলতা এবং মানবসমাজ অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। একটি উন্নত জীবনের জন্য সকল দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা হল আমাদের সাধনা, এবং শান্তি, উন্নয়ন, সহযোগিতা এবং জয়-জয় সময়ের ধারা অপ্রতিরোধ্য। আমাদের অবশ্যই সময়ের দ্বারা অর্পিত ভারী দায়িত্বগুলো কাঁধে তুলে নিতে হবে, আমাদের মূল লক্ষ্যকে মনে রাখতে হবে, ঐক্য ও সহযোগিতার চেতনা মেনে চলতে হবে, এবং বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য আরও ইতিবাচক শক্তির যোগান দিতে হবে।”