সংবাদ পর্যালোচনা: আন্তঃসভ্যতা সংলাপের গুরুত্ব
গত সপ্তাহে ৭৮তম জাতিসংঘ অধিবেশনে চীনের উত্থাপিত সভ্যতার সংলাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। এতে ১০ জুনকে ‘আন্তঃসভ্যতা সংলাপ আন্তর্জাতিক দিবস’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উত্থাপিত বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগের মৌলিক ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে।
ইউনেস্কোর সহকারী মহাসচিব গ্যাব্রিয়েলা রামোস গতকাল (সোমবার) এক ভিডিও ভাষণে সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত আন্তর্জাতিক সভ্যতা সংলাপ দিবস স্থাপনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্তঃসভ্যতা সংলাপ হলো টেকসই ভবিষ্যত্ বাস্তবায়নের চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, আন্তঃসভ্যতা সংলাপ হলো পারস্পরিক সমঝোতা, সহযোগিতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠার একটি উপায়। জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারী, সংঘর্ষ এবং ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সামনে, আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত যৌথভাবে সমাধান পরিকল্পনা খুঁজে বের করা। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যবস্তু বাস্তবায়ন করে, টেকসইভাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ঐক্য গঠনের বিষয়ে জোর দেন তিনি।
ক্রমবর্ধমান আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বের প্রেক্ষিতে, সভ্যতাগুলির মধ্যে সংলাপ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও বোঝাপড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে, এমন সংলাপ বৈষম্য ও কুসংস্কার নির্মূল, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আস্থার উন্নয়ন, জনগণের সাথে সংযোগ বৃদ্ধি এবং ঐক্য ও সহযোগিতা শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘আন্তঃসভ্যতা সংলাপের’ কিছু গুরুত্ব তুলে ধরা হলো।
#### বৈষম্য ও কুসংস্কার নির্মূল
বৈষম্য ও কুসংস্কার প্রায়শই অন্য সংস্কৃতি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও ভুল ধারণা থেকে উদ্ভূত হয়। সভ্যতাগুলির মধ্যে সংলাপ একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে যেখানে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভাগ করা যায়, যা স্টেরিওটাইপ ও ভুল ধারণাগুলি ভেঙে ফেলে। যখন ব্যক্তি ও সম্প্রদায়গুলি খোলামেলা ও সঠিক আলোচনায় নিযুক্ত হয়, তখন তারা বিভিন্ন সংস্কৃতির জটিলতা ও সূক্ষ্মতাগুলি আরও ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারে। এই বোঝাপড়া সহানুভূতি ও সম্মানকে উৎসাহিত করে, যা বৈষম্যমূলক মনোভাব ও আচরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যাবশ্যক। সাধারণ মানব অভিজ্ঞতা ও মূল্যবোধকে তুলে ধরে, সংলাপ সাংস্কৃতিক ফাটলগুলি পূরণ করতে এবং কুসংস্কার ও বৈষম্যের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।