শুল্কের মাধ্যমে চীনা গাড়িকে বাধা দেয়ার ইইউর আচরণ কেন মানুষের সমর্থন পেতে পারে না?
দ্বিতীয়ত, ন্যায্য প্রতিযোগিতাকে ভয় করার মানসিকতা।অনেক বছর ধরে গতানুগতিক জ্বালানিচালিত যানবাহনের খাতে ইউরোপ উন্নত স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে চীনের নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি শিল্প দ্রুতগতিতে উন্নত হচ্ছে।এজন্য ইউরোপের কিছু লোক ভয় পাচ্ছে যে চীন হয়তো ইউরোপকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইউরোপের কয়েকটি গণমাধ্যমে এমনকি একথাও বলা হয়েছে, চীনা গাড়িকে ইউরোপ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে এবং এর ফলে ইউরোপের গাড়ি উৎপাদনকারীরা উন্নয়নের জন্য আরও বেশি সময় পাবে। বাস্তবতা কি সত্যি এরকম? যদি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায় তাহলে বোঝা যাবে এই অন্যায্য পদ্ধতিতে প্রতিযোগীদের ওপর চাপ ও বাধা সৃষ্টির আচরণের মাধ্যমে ইউরোপ নিজের জন্য আরও বেশি ক্ষতি বয়ে আনবে।
তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি অনুসরণ করার মানসিকতা। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে তথাকথিত ওভার ক্যাপাসিটি বা অতিরিক্ত সক্ষমতার ভুয়া তত্ত্ব প্রচার করছে; অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে একযোগে চীনের নতুন জ্বালানি শিল্পের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।
আসলে, নতুন জ্বালানি গাড়ি শিল্পের খাতে, চীন ও ইউরোপের ব্যাপক অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিএমডাব্লিউ, ভক্সওয়াগেনসহ একাধিক ইউরোপীয় গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চীনে তাদের নতুন জ্বালানি গাড়ির উৎপাদন বা গবেষণা কেন্দ্র উন্নত করছে;পাশাপাশি বিওয়াইডি, সিএটিএলসহ একাধিক চীনা শিল্প্রতিষ্ঠানও ইউরোপে বিনিয়োগ করে কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে বা করবে।
ইতিহাসে বারেবারে প্রমাণিত হয়েছে যে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার শক্তি সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। অন্যায়ভাবে বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জয়লাভ করতে পারবে না। ইউরোপের উচিত সব মহলের যৌক্তিক মতামত শোনা এবং দ্রুত তাদের ভুল আচরণ সংশোধন করা। যদি ইউরোপ তাদের ভ্রান্ত আচরণ বহাল রাখে তাহলে চীন অবশ্যই দৃঢ়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও বাজারের নীতি এবং চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বৈধ স্বার্থকে রক্ষা করবে।