চীনের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কর্মজীবনের প্রস্তুতিমূলক ধাপ
এদিকে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তথা প্রথম তিন মাসে, চীনে ৩০.৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। চীনের মানবসম্পদ ও সামাজিক নিশ্চয়তা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় কর্মসংস্থানব্যবস্থা আরও সুসংহত করবে, আধুনিক উত্পাদন শিল্পে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কার্যক্রম চালু করবে, ও নতুন দফা বেকারত্ব বীমানীতির গবেষণা দ্রুততর করবে। ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান সমর্থনব্যবস্থা সুসংহত করা হবে; আধুনিক উত্পাদন, আধুনিক সেবা, প্রবীণদের যত্নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী, ব্যাপকভাবে পেশাদারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হবে।
পাশাপাশি, চীনের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এবং জনগণের আয় বাড়াতে দেশটি ২০২৪ সালে ‘সবার আগে কর্মসংস্থান’ নীতি অনুসরণ করবে বলে জানিয়েছে চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকারী, জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন – এনডিআরসি। এ বছর, চীন শহরাঞ্চলে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়েছে। এর আগের বছর ছিলো ১ কোটি ২০ লাখের কম। এনডিআরসি-র অধীন কর্মসংস্থান, আয়বণ্টন ও ভোগ বিভাগের উপ-পরিচালক কোও ছিমিন সম্প্রতি চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন সিসিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এটি কর্মসংস্থানের প্রসারে কমিউনিস্ট পার্টি ও সরকারের প্রচেষ্টা, দৃঢ় সংকল্প ও সুস্পষ্ট নীতির প্রতিফলন।
পাশাপাশি, উন্নয়নশীল বিশ্বের মতো চীনের পরিষেবা খাতে আউটসোর্সিং বাড়ছে। বিশেষ করে এ বছরের প্রথম দুই মাসে এ খাতে প্রবৃদ্ধির গতি ছিল স্থিতিশীল। শুক্রবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তথ্যে এমনটা জানানো হয়েছে। চীনের আউটসোর্সিং খাত গত দুই মাসে তৈরি করেছে ১ লাখ ৭৬ হাজার চাকরি। এর মধ্যে দেড় লাখেরও বেশি চাকরি পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীরা। গত বছর চীনা সংস্থাগুলো প্রায় ২৬৫ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের আউটসোর্সিং চুক্তি করেছে। যা এর আগের বছরের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, আউটসোর্সিংয়ের এ প্রবণতা চীনে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ খাত যত উন্নত হবে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরাও তত আকৃষ্ট হবে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-এর সঙ্গে সম্পাদিত আউটসোর্সিং চুক্তির মূল্য ছিল যথাক্রমে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার ও প্রায় ২০০ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১৬ ও ২৮ শতাংশ বেশি।