সুন্দর চীন প্রতিষ্ঠায় চীনা প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা ও আয়োজন
২০২০ সালে সি চিন পিং দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনচি জেলা পরিদর্শন করেন। তখন তিনি বলেন, “এ অগ্রগতি প্রমাণ করেছে যে, সবুজ উন্নয়ন একটি সঠিক পথ। আমাদের উচিত টেকসই উন্নয়নের পথে অবিচল থাকা। প্রতিবেশ নিজেই এক ধরনের অর্থনীতি, যা রক্ষা করলে সে আপনাকে বিনিময়ে অনেককিছু দেবে।”
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে চীন বায়ু, পানি ও মাটি দূষণের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে। ২০২০ সালে ৭৫তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঘোষণা করেন, চীনে ২০৩০ সালের পর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন শুধু কমতেই থাকবে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে চীন কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জন করবে। তিনি বলেন, এই লক্ষ্য চীনের উচ্চমানের উন্নয়নের অন্যতম শর্ত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে চীনের দেওয়া দৃঢ় প্রতিশ্রুতি।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য চীন ধারাবাহিকভাবে, গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ও শিল্পে, কার্বন-নিরপেক্ষতা অর্জনের পরিকল্পনা ও সমর্থনমূলক নীতি গ্রহণ করেছে; শিল্প কাঠামো ও জ্বালানি কাঠামো সুবিন্যস্ত করে চলেছে; নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নকাজ জোরদার করেছে; এবং বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন-বাজার ও পরিষ্কার বিদ্যুতের উত্পাদনব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বর্তমানে সুন্দর চীনসংশ্লিষ্ট মূল লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে এমন: ২০২৩ সাল পর্যন্ত, সবুজ উত্পাদন ও জীবনধারা ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে; কার্বন নির্গমন অব্যাহতভাবে কমবে; পরিবেশ মৌলিকভাবে উন্নত হবে; এবং সুন্দর চীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য প্রায় অর্জিত হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য চীন, প্রেসিডেন্ট সি চি পিংয়ের নেতৃত্বে, অব্যাহত প্রচেষ্টা জারি রাখবে, এ কথা বলাই বাহুল্য।