‘পাকিস্তান চীনকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু মনে করে’
শাহবাজ বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীনের উন্নয়ন-কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন। পাকিস্তানি জনগণের স্বাধীনভাবে বিকাশের ক্ষমতা উন্নত করা এবং চীন থেকে দারিদ্র্য হ্রাসের অভিজ্ঞতা শেখা হলো তার এবার চীন সফরের প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয়।
শাহবাজ আশা করেন, এই সফর পাকিস্তান ও চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মিথস্ক্রিয়াকে উন্নত করবে। তা ছাড়া, এবারের সফরের মাধ্যমে, শিল্প পার্কের সমর্থক হিসেবে পাকিস্তানের শ্রমশক্তির সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে, যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার জন্য উভয় পক্ষকে আকৃষ্ট করতে, প্রযুক্তি ও শিল্প স্থানান্তর-ব্যবস্থাকে উন্নত করতে, পাকিস্তানের উত্পাদন শিল্পের উন্নয়ন এবং যৌথভাবে একটি ‘আপগ্রেডেড সংস্করণ’-এর চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।
শাহবাজ শরীফ বলেন, যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুধুমাত্র চীন ও সহ-বাস্তবায়নকারী দেশগুলোর জনগণের জন্য সুবিধা নিয়ে আসবে ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে উন্নত করবে, তা নয়, বরং বিশ্বকে ক্রমাগত অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে উত্সাহিত করবে। পাকিস্তান ‘বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ’, ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ’ এবং ‘বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগ’ বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে চীনের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
শাহবাজ জোর দিয়ে বলেন, তরুণরাই মানুষের হৃদয়ের সংযোগকারী সেতু। পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে মানুষে মানুষে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং পাক যুবক-যুবতীদেরকে চীনা ভাষা শিখতে ও চীনে অধ্যয়ন করতে উত্সাহিত করে। পাকিস্তান সংশ্লিষ্ট অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে এবং আদান-প্রদানের জন্য পাকিস্তানে আসা চীনা বন্ধুদের স্বাগত জানাবে। পাকিস্তান অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে সূচনাবিন্দু হিসেবে নিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে চীনের উন্নত অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে, দুই দেশের মধ্যে লৌহদৃঢ় বন্ধুত্বকে সুসংহত করতে, এবং উল্লম্ফন উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।