মার্কিন ‘অভিনন্দনে’র পিছনে অসৎ অভিপ্রায়
যা দেখায় যে এক-চীন নীতি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত এবং জনমত এবং বিশ্বব্যাপী প্রবণতার প্রতিনিধিত্ব করে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক-চীন নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘনের বিশ্বব্যাপী বিরোধিতার অসংখ্য নজির রয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ২০২২ সালে তাইওয়ান সফর করার পরে, ১৭০টিরও বেশি দেশ এবং অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা চীনের পক্ষে কথা বলেছে, এক-চীন নীতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের ভূমিকার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
তাইওয়ান প্রশ্নটি চীনের একটি কেন্দ্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, যা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি। এটি দু’দেশের সম্পর্কের প্রথম লাল রেখা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অতিক্রম করা উচিত নয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে ওয়াশিংটন ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’, ‘দুই চীন’ বা ‘এক চীন, এক তাইওয়ান’ সমর্থন করে না এবং চীনকে চাপে রাখতে তাইওয়ানকে একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চায় না। কিন্তু ওয়াশিংটন কি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে?
বাস্তবতা হল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ওয়াশিংটন তার প্রতিশ্রুতি থেকে পিছু হটছে, তাইওয়ান অঞ্চলের সাথে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় না রাখার প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে যাচ্ছে, তাইওয়ানের সাথে তার যোগাযোগের স্তরকে উন্নত করছে এবং তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতির জন্য ওয়াশিংটনকে তার মৌখিক প্রতিশ্রুতি কঠোরভাবে পালন করতে হবে।
‘চীনকে রুখতে তাইওয়ানকে ব্যবহার করা’র ভুল কৌশল নিয়ে কিছু মার্কিন রাজনীতিবিদ চীনের দৃঢ় সংকল্প এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার দৃঢ় ইচ্ছাকে অবমূল্যায়ন করেছেন।
তাইওয়ান সমস্যার সমাধান করা এবং সম্পূর্ণ জাতীয় পুনঃএকত্রীকরণ অর্জন চীনা জনগণের যৌথ আকাঙ্খা এবং দৃঢ় ইচ্ছা এবং এতে কোনো আপস করার সুযোগ নেই। জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য চীনা জনগণের বিপুল ক্ষমতা রয়েছে।
একটি শক্তিশালী চীনের ঐতিহাসিক প্রবণতা, জাতীয় পুনরুজ্জীবন এবং পুনর্মিলন বন্ধ করা যাবে না এবং ওয়াশিংটনে কিছু চীন বিরোধী রাজনীতিবিদের দ্বারা সমস্ত অপ্রচার সত্ত্বেও ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ প্রয়াস ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। তাই তাইওয়ান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভুল নীতি আশু পরিত্যাগই করাই সমীচীন।
মাহমুদ হাশিম
সিএমজি বাংলা, বেইজিং।