‘মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে চীন-ফ্রান্স যৌথ বিবৃতি’ প্রসঙ্গ
চীন-ফ্রান্স মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিসম্পর্কিত যৌথ বিবৃতিতে যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের নিন্দা করা হয়। ইসরায়েলের রাফাহ আক্রমণেরও বিরোধিতা করা হয় এতে। যথাশীঘ্র সম্ভব টেকসই যুদ্ধবিরতি, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত ও ‘দুই রাষ্ট্র তত্ত্ব’ বাস্তবায়নের আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে। চীন ও ফ্রান্স ন্যায্য অবস্থানে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মতৈক্যে পোঁছেছে। এটি আন্তর্জাতিক সমাজের আস্থা বাড়াবে এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি রোধে ও দু’দেশের শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতের জন্য সহায়ক প্রমাণিত হবে।
এ ছাড়াও, চীন ও ফ্রান্সের নেতারা আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পদ্ধতিতে ইরানের পরমাণু ইস্যু সমাধানের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এতে। এসব ইস্যু মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত।
চীন ও ফ্রান্সের নেতাদের বৈঠকের একই দিন আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি ইরান সফর করেন। তিনি ইরান আন্তর্জাতিক পারমাণিক প্রযুক্তি সম্মেলনে উপস্থিত হন এবং পরমাণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়াও, চীন ও ফ্রান্সের নেতারা ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক গেমসের সময় সবধরনের যুদ্ধে বিরতির আহ্বান জানান। এটি সংলাপ ও সমঝোতার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
বর্তমান বিশ্ব অশান্ত। পরিস্থিতি যতই উত্তাল হবে, ততই চীন ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মূল উদ্দেশ্যকে সমুন্নত রাখতে হবে এবং বৃহত্তর দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উভয় দেশের ঐকমত্য এবং তারা এবার যে প্রজ্ঞা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা বিশ্ববাসীকে আশা যুগিয়েছে। আগামী ৬০ বছরে দু’দেশ অবশ্যই যৌথভাবে একটি বিভ্রান্ত বিশ্বে আশা জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করবে এবং মানুষের অগ্রগতির দিকটি অন্বেষণ করবে।