জায়ান্ট পান্ডা ও চীন-ফরাসি সম্পর্ক
ইয়াআনের পাওসিংয়ে অবস্থিত জায়ান্ট পান্ডা জাতীয় পার্কে স্থাপিত ইনফ্রারেড ক্যামেরা শুধুমাত্র বন্য জায়ান্ট পান্ডাদের বিচরণের ওপর নজর রাখে, তা নয়, বরং এটি রিয়েল টাইমে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে মনিটরিং রুমে ছবি পাঠাতে পারে।
তার নিটোল শরীর, সাদাসিধে মুখ এবং কোমল ও শক্ত চরিত্র দিয়ে জাতীয় ধন জায়ান্ট পান্ডা অগণিত দেশী-বিদেশী ভক্ত বানিয়েছে।
ফরাসি মানুষ জেরোম পুইলি কয়েক বছর আগে একটি পান্ডা-থিমযুক্ত ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পান্ডা অনেক পছন্দ করেন। তিনি বেশ কয়েকবার চীনেও এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে, জায়ান্ট পান্ডা প্রজননের ছেংতু রিসার্চ বেসে ইউয়ানমেংকে দেখার সুযোগ পাই। যেখানে সে থাকে, সে জায়গাটা অনেক বড় এবং তিনি ছেংতুতে সে ভালোভাবে বসবাস করছে।’ তিনি আরও বলেন, জায়ান্ট পান্ডা বিলুপ্তির আশঙ্কা এখন আর নেই বললেই চলে। ‘আমি নিজেই জায়ান্ট পান্ডা সুরক্ষায় চীনের প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি’, তিনি বলেন।
চীনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বার্ট্রান্ড লরথোলারি সম্প্রতি জায়ান্ট পান্ডা জাতীয় পার্ক পরিদর্শনের সময় বলেন, ফরাসি ও চীনা জনগণ বোঝে যে, জলবায়ুর পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা পৃথিবীর ভবিষ্যত ও দু’দেশের জনগণের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য দু’দেশের বিশেষজ্ঞরা নিম্ন কার্বন শক্তি উন্নয়ন এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিগুলোকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বস্তুত, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার পথে, চীন ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের জনগণ, যৌথভাবে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সুরেলা সহাবস্থান ও ভাগ্যের একটি সবুজ গল্প লিখছেন।