বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের আলোচনা: মানুষ কীভাবে পৃথিবী রক্ষা করবে
এপ্রিল ২৩: ৫৫তম বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ছিল গতকাল (সোমবার)। মানুষের বসবাসের একমাত্র স্থান হিসেবে বর্তমান পৃথিবী বিভিন্ন গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে: বিশ্বের উষ্ণায়ন, বাস্তুতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে উঠছে, বিপুল সংখ্যক প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে, বায়ু ও রাসায়নিক দূষণ ভূমি, সাগর ও মানুষের স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমরা নিজেদের অভিন্ন আবাসস্থল রক্ষার জন্য কী কী করতে পারি? জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি প্লাস্টিকের উপর নির্ভরতা কমানো, সবুজ যাতায়াত, সঠিকভাবে গাছ লাগানোসহ বৈশ্বিক পরিবেশ বাঁচাতে সাহায্য করার জন্য ৫টি কর্ম নির্দেশনা দিয়েছে।
বাস্তুতান্ত্রিক ব্যবস্থা মেরামত
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন হেক্টরেরও বেশি জমি ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে এবং ২০০০ সাল থেকে খরার সংখ্যা ও সময়কাল ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুকরণ মোকাবিলা এবং খরা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের প্রকাশিত ‘বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার হ্যান্ডবুক: পৃথিবীকে নিরাময় করার ব্যবহারিক গাইড’-এ বাস্তুতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের ৮টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এ সব বাস্তুতান্ত্রিক ব্যবস্থা হল: বন, কৃষিভূমি, তৃণভূমি ও সাভানা, নদী ও হ্রদ, মহাসাগর ও উপকূল, শহর ও জেলা এবং পাহাড় ও পিটল্যান্ড।
হ্যান্ডবুকে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অংশ নেওয়ার জন্য ব্যক্তিদেরকে অনেক পরামর্শ দেওয়া হয়, যেমন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পার্ক, সৈকত, হ্রদ ইত্যাদি প্রাকৃতিক এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া; বাড়ি, স্কুল বা অফিসের সবুজায়নের সময়ে স্থানীয় উদ্ভিদ ব্যবহার করা; অনলাইন কার্যক্রম আয়োজন করে বাস্তুতন্ত্রের মূল্য ও হুমকি নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি।