সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ানের মা ইং চিউর সাক্ষাৎ
সি জোর দিয়ে বলেন, তরুণরা দেশের আশা, জাতির ভবিষ্যত। তিনি আরও বলেন, ‘চীনা জাতির সামগ্রিক স্বার্থ এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন থেকে তাইওয়ান প্রণালীর দু’পারের সম্পর্কের সামগ্রিক পরিস্থিতি আমাদের উপলব্ধি করতে হবে’।
প্রথমত, দৃঢ়ভাবে চীনা জাতির সাধারণ গৃহকে রক্ষা করা। তাইওয়ান প্রণালীর দু’পারের বাসিন্দাকে অবশ্যই "তাইওয়ানের তথাকথিত স্বাধীনতা" বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের দৃঢ় বিরোধিতা করতে হবে, দৃঢ়ভাবে চীনা জাতির সাধারণ ঘরকে রক্ষা করতে হবে, যৌথভাবে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অনুসরণ করতে হবে এবং চীনা জাতির ভাগ্যের চাকাকে চীনাদের হাতেই দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে।
দ্বিতীয়ত, চীনা জাতির জন্য দীর্ঘস্থায়ী কল্যাণ সৃষ্টিতে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাইওয়ান প্রণালীর দু’পারের বাসিন্দার কল্যাণ হল ক্রস-স্ট্রেইট সম্পর্ক উন্নয়নের সূচনা বিন্দু এবং লক্ষ্য।
তৃতীয়ত, দৃঢ়ভাবে চীনা জাতির ঐক্যবদ্ধ অনুভূতি গড়ে তোলা। ক্রস-স্ট্রেইট বিনিময় এবং একীকরণকে সক্রিয়ভাবে উন্নীত করার জন্য আমরা আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যাতে প্রণালীর দু’পারের স্বদেশীরা হৃদয় থেকে হৃদয়ে কথা বলতে পারে, বিনিময়ে আস্থা বাড়াতে পারে এবং চেতনাগত সম্প্রীতি প্রচার করতে পারে।
চতুর্থত, চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণকে আমাদের দৃঢ়ভাবে উপলব্ধি করতে হবে।
মা ইং চিউ বলেন "১৯৯২ ঐক্যমত্য" মেনে চলা এবং "তাইওয়ানের তথাকথিত স্বাধীনতা" এর বিরোধিতা করা হচ্ছে প্রণালী দু’পারের সম্পর্কের শান্তিপূর্ণ বিকাশের জন্য সাধারণ রাজনৈতিক ভিত্তি। তাইওয়ান প্রণালীর দু’পারের জনগণের উচিত আদান-প্রদান ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করা, যৌথভাবে চীনা সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী হওয়া, তাইওয়ান প্রণালীর দু’তীরের স্বদেশীর কল্যাণকে বৃদ্ধি করা এবং চীনকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়া।