সংবাদ পর্যালোচনা: নানশা দ্বীপপুঞ্জ চীনের ভূখণ্ড
এপ্রিল ৬: চীনের নানশা দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং পরে একাধিক নথি থেকে স্পষ্ট যে, নানশা দ্বীপপুঞ্জ চীনের ভূখণ্ড। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সম্প্রতি বলেছেন, ফিলিপিন্স বারবার চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, কিন্তু চীনের নানশা দ্বীপপুঞ্জের ভূখণ্ডে তার অবৈধ দখল ও লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেনি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন সম্প্রতি বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ফিলিপিন্স বারবার চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, কিন্তু চীনের নানশা দ্বীপপুঞ্জের ভূখণ্ডে তার অবৈধ দখল ও লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেনি। এটিই আসল প্রচারণা ‘ফাঁদ’। মুখপাত্র বলেন, রেন আই রিফসহ নানশা দ্বীপপুঞ্জ চীনের ভূখণ্ড। একাধিক আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে ফিলিপিন্সের সীমানা নির্ধারিত হয়েছে এবং নানশা দ্বীপপুঞ্জ তার মধ্যে নেই। ফিলিপিন্স বারবার চীনের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অভিযোগ করেছে এবং উস্কানি দিয়েছে, যা দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের সামিল এবং সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, দীর্ঘকাল ধরে, চীন এবং আসিয়ান দেশগুলো সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে বিরোধগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য জোর দিয়ে আসছে এবং চীন ও আসিয়ান দেশগুলো দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একসাথে কাজ করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিপিন্স দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য বহিরাগত শক্তির সহায়তায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
চীনা মুখপাত্র আরও বলেন, চীন আবারও ফিলিপিন্সকে তাগিদ দেয় যে, তারা সত্যকে সম্মান করবে, চীন ও ফিলিপিন্সের মধ্যে প্রাসঙ্গিক সমঝোতা মেনে চলবে, দক্ষিণ চীন সাগরে পক্ষগুলোর আচরণ সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রের বিধানগুলো মেনে চলবে, চীন ও আসিয়ানের ঐকমত্য মেনে চলবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে বিরোধ সমাধানের সঠিক পথে ফিরে আসবে।