চীনের উচ্চমানের উন্নয়ন বিশ্বের জন্য আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি করবে: বোআও অংশগ্রহণকারী অতিথিরা
বর্তমানে উন্নয়নের নতুন গুণগত মানের উত্পাদনশক্তি লালন করছে চীন এবং উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়নকে এগিয়ে নিচ্ছে। ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল ও বায়োটেকনোলজি কম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার গ্লোবাল সিইও প্যাসকাল সোরিও মনে করেন, রাষ্ট্র ও অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, চীনের উন্মুক্তকরণ নানা প্রযুক্তি বিশ্বের কাছে নিয়ে যাবে। এই সম্পর্কে তিনি বলেন,
“চীন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশাল অবদান রাখছে। এটি সবার চোখে সুস্পষ্ট। পাশাপাশি, আরেকটি অবদান উপেক্ষা করা যায় না। সেটা হলো উদ্ভাবন। জৈবিক ক্ষেত্র ও অন্যান্য ক্ষেত্রে চীনের সবুজ রূপান্তর প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের দ্রুত উন্নয়নে শক্তিশালী সহায়তা যোগাবে। সফলভাবে এসব প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং অবদানও আরও ব্যাপক হবে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবেশ-বান্ধব সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চীন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। যেমন, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক আন্তঃদেশীয় সরাসরি বিনিয়োগ নিম্ন পর্যায়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে চীনের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ সামষ্টিকভাবে এ ধারা বদলে দেয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর চীনে সকল খাতে অ-আর্থিক বিভাগে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ‘বেল্ড অ্যান্ড রোড’ বরাবর দেশগুলোর অ-আর্থিক বিভাগে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ শতাংশ বেশি। ডেহলার টেকনোলজি কম্পানির চীন বিষয়ক উপ-প্রধান লিউ মিং হুয়া মনে করেন, চীন বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির অনেক গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এই সম্পর্কে তিনি বলেন,
“বৈশ্বিক বহুপাক্ষিক আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় অঞ্চলে সবুজ উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবন প্রভৃতি। এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশাল অবদান রেখেছে চীন।”