মার্কিন সমর্থিত তথাকথিত ‘গণতন্ত্রের জন্য সম্মেলন’ শুধু বিভাজন ও সংঘাত উস্কে দেয়
কোরিয়া-চীন সিটি ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কওন কি-সিক, শীর্ষ সম্মেলনটিকে একটি শূণ্যগর্ভ জমায়েত বলে সমালোচনা করেছেন, যা সামনে থাকা বৈশ্বিক সংকটকে উপেক্ষা করে। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দারিদ্র্যের মতো বিদ্যমান বৈশ্বিক সংকটগুলোর সমাধানের আলোচনার বেশি আগ্রহ দেখা যায় না তাদের মধ্যে। আদপেই সেটি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি সংঘাত উস্কে দেওয়ার প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য, শীর্ষ সম্মেলনটিকে তার আন্তর্জাতিক অবস্থানের একটি রাজনৈতিক প্রদর্শন হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। কিন্তু দেশটির সংবাদ মাধ্যমই তার সমালোচনা করেছে। দেশটির সংবাদপত্র কিয়ংহিয়াং শিনমুন সম্প্রতি একটি সম্পাদকীয়তে বলেছে,
দক্ষিণ কোরিয়ার ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতির পশ্চাদপসরণ’ দেখে, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব’ নিয়ে সরকারের গর্ব বেশিরভাগ নাগরিককে হতাশ করেছে।
স্নায়ুযুদ্ধের শেষের পর থেকে, বিশ্ব বহুপাক্ষিকতার প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থন ও আস্থা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওয়াশিংটন, এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বজায় রাখতে একগুঁয়েমি করছে।
হানকুক ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন স্টাডিজের আইন স্কুলের ইমেরিটাস অধ্যাপক লি জ্যাং-হি’র অভিমত, পূর্ব এশিয়ায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে একটি জোট গড়তে চাইছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘গণতন্ত্রের সম্মেলন বসিয়ে একটি ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ তৈরি করতে চাইছে।
তাই এ কথা বলাই যায়, ওয়াশিংটনের স্পন্সর করা এবারের শীর্ষ সম্মেলনটিরও সারমর্ম হ'ল গণতন্ত্রের সামরিকীকরণ, বিভাজনকে উত্সাহিত করা এবং মার্কিন আধিপত্য রক্ষা করা।
মাহমাদ হাশিম
সিএমজি বাংলা, বেইজিং।