আরও সুন্দর বাসস্থান গঠনে সি চিন পিং যত্নশীল
বর্তমানে লুং ওয়াং মিয়াও গ্রামে ১৬৮টি বাড়িঘরের পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অবকাঠামো পুনরুদ্ধার হয়েছে। দুর্গতরা সময়মতো বাড়িতে উঠেছে। চারা লালনের লক্ষ্যে ১০৭টি গ্রিনহাউস পুনর্গঠিত হয়েছে, যা বসন্তকালীন উত্পাদনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে সি চিন পিং পরপর তিনবার দুর্গত অঞ্চলে মানুষদের দেখতে যান। গত নভেম্বর মাসে উত্তর চীনে শীতকাল শুরু হয়। সি চিন পিং দুর্গতদের দেখতে এবং পুনর্গঠন কাজে নির্দেশনা দিতে ওয়া ছুয়ান চুয়াং গ্রামে যান। গ্রামবাসী ফু চি চুন জানান, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নতুন তৈরি অর্ধেক দেয়াল স্পর্শ করে বিস্তারিত জানতে চান। প্রেসিডেন্ট সিকে দেখে খুব মুগ্ধ হন এবং চোখে পানি চলে আসে। এখন গ্রামবাসীরা উত্সাহের সঙ্গে সুন্দর জীবন কাটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট সি’র সমবেদনা ও উত্সাহে কঠিনতা ও দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সবাই আস্থাবান ও সাহসী হয়েছেন। বর্তমানে ফু চি চুন আগের স্থানে আগের চেয়ে দ্বিগুণ বড় নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন। গ্রামে ১৭২টি পরিবারের বাড়িঘর সুসংবদ্ধ ও সংস্কার কাজও শেষ হয়েছে। বসন্ত উত্সবের বাজার আবারও খুলেছে।
চীনের কান সু ও ছিং হাই প্রদেশ গত বছরে ভূমিকম্পে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বসন্ত উত্সব চলাকালে দুই প্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল ও বাড়িঘর মেরামত ও সুসংবদ্ধ করার কাজ জোরদার হচ্ছে। যাতে দুর্গত মানুষেরা দ্রুততার সঙ্গে নতুন বাড়িতে উঠতে পারে। সবার সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। অস্থায়ী বসতিতে সবাই বসন্ত উত্সবের আওয়াজ উপভোগ করতে পারছেন।
ড্রাগন বর্ষ সাহস, পরিশ্রম ও অসীম প্রাণশক্তির প্রতীক। সুসংহত হলে শক্তি বাড়বে। আস্থার বৃদ্ধি সোনার মতো মূল্যবান। নতুন অগ্রযাত্রা সবার আস্থা বৃদ্ধি করে আরও সুন্দর ভবিষ্যত গঠনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।