‘৩৮২০’ কৌশল কীভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে? এর উত্তরটি চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে অবিচল থাকা
জানুয়ারি ২২: ‘৩৮২০’ কৌশলগত প্রকল্প হচ্ছে চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের রাজধানী ফুচৌ শহর উন্নয়নের জন্য তত্কালীন চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি’র) ফুচৌ শহর কমিটির সম্পাদক সি চিন পিংয়ের নির্ধারিত একটি ২০ বছরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের কৌশলগত নকশার ধারণা। এটি ফুচৌ স্থানীয় উন্নয়নের একটি সুন্দর ব্লুপ্রিন্ট। ‘৩৮২০’ কৌশলগত প্রকল্প ১৯৯২ সালে সিপিসি’র তত্কালীন ফুচৌ কমিটির সম্পাদক সি চিন পিং প্রস্তাব করেন। এর অর্থ হল ফুচৌ-এর অর্থনীতিকে একটি বড় স্তরে আনতে তিন বছর সময় লাগবে, অর্থাৎ ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। আট বছরের মধ্যে ফুচৌ চীনের একটি আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে এবং ২০ বছরের মধ্যে অর্থাত্ ২০১০ সাল পর্যন্ত, ফুচৌ এশিয়ার মধ্যম সারির উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানে পৌঁছাবে। এটি কিভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে? এর উত্তর হল, কমরেড সি চিন পিং সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ গভীরভাবে বাস্তবায়নের ধারণা দিয়েছেন। আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় আমি এই বিষয়ে আলোচনা করবো।
সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ হচ্ছে ‘৩৮২০’ কৌশলগত প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। ফুচৌ একটি প্রবাসীদের শহর। ৪০ লাখেরও বেশি চীনা প্রবাসীরা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন। প্রবাসীদের জন্মস্থানে পুঁজি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কমরেড সি নিজস্ব প্রতিনিধিদল নেতৃত্ব করেছেন।
সব প্রবাসীদেরকে জন্মস্থানে ফিরে শিল্প পার্ক এলাকা নির্মাণ করতে উত্সাহ দেন কমরেড সি। সিপিসি’র তত্কালীন ফুছিং কমিটির সম্পাদক লিয়ান চি সুয়ান বলেন, ‘কমরেড সি বলেন যে, জন্মস্থানে ত্রাণ-সামগ্রী পাঠানো যেন স্থানীয় অধিবাসীদেরকে ডিম দেওয়া, ডিম খাওয়া শেষ হলে, কি করবেন? সমস্যাটি সমাধান করতে হবে না। কিন্তু শিল্প পার্ক এলাকা প্রতিষ্ঠিত হলে, স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য যেন একটি মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা হবে। তাহলে ডিম প্রতিদিন খেতে পারবে এবং আমাদের জীবনও দিন দিন ভাল হয়ে উঠবে’।