চীনা অর্থনীতির উত্থান, আস্থা বাড়িয়েছে বিশ্বের
উচ্চ প্রবৃদ্ধির জোরালো এ ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর একটি শক্ত ভিত্তি রয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য দেখা গেছে, চীনের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এ বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বছরে ৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির মধ্যে সর্বোচ্চ। জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, চীনে ৪১ হাজার ৯৪৭টি নতুন বিদেশী-বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩২.১ শতাংশ বেশি। কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের চীনে প্রকৃত বিনিয়োগ যথাক্রমে ১১০.৩ শতাংশ, ৯৪.৬ শতাংশ, ৯০.০ শতাংশ, ৬৬.১ শতাংশ এবং ৩৩.০ শতাংশ বেড়েছে।
ব্রাজিলের সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের পরিচালক মার্কোস পাইরেস বলেন, চীনের অর্থনীতি ক্রমশই বাড়ছে শুধু তাই নয়, এর গুণগত মানও উন্নত হচ্ছে। চীনের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সেক্টর, নতুন শক্তি উৎপাদন সরঞ্জাম, ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক যান শিল্পের দ্রুত বিকাশের দ্বারা চালিত। মাত্র কয়েক বছরে চীন এ ক্ষেত্রে বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠেছে।
‘বছরের শুরু থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু পশ্চিমা মিডিয়া এবং রাজনীতিবিদরা বলে আসছেন যে, চীনের অর্থনীতি ভেঙে পড়তে চলেছে, চীনের অর্থনীতি একটি ‘টাইম বোমা’ এবং চীনের শহরগুলো ভূতের শহরে পরিণত হয়েছে’। অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিবিদ কুও শেংসিয়াংয়ের ভাষ্য মতে- এ সবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য এবং এ থেকে প্রমাণিত হয় যে তাদের সাধারণ জ্ঞানেরও কমতি রয়েছে।
আগামী ৩০ বছরে, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আরও অনেক ক্ষেত্রে চীন বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় হবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক জেফ্রি শ্যাস।