সার্বিক গ্রামীণ পুনরুজ্জীবণ ‘কৃষি, কৃষক ও গ্রাম’ সম্পর্কিত কাজের প্রধান বিষয়
লাই বিন'র আখক্ষেত
গত ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর চীনের কেন্দ্রীয় গ্রাম কর্সসভা বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মসভার আগে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর স্থায়ী কমিটির অধিবেশন কর্মসভাটি সুন্দরভাবে আয়োজন এবং ‘কৃষি, কৃষক ও গ্রাম’ সম্পর্কিত কাজের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা দেয়।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দল ও দেশের উন্নয়ন কৌশলের দিক থেকে ‘কৃষি, কৃষক ও গ্রাম’ সম্পর্কিত কাজের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন বেগবান করতে চাইলে নিরলসভাবে কৃষি-ভিত্তি জোরদার করার মাধ্যমে সার্বিকভাবে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনকে বেগবান করতে হবে।”
চীনে প্রায় ২০ কোটি মানুষ কৃষির সঙ্গে জড়িত আর গ্রামে বাস করে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। ‘কৃষি, কৃষক ও গ্রাম’ সম্পর্কিত কাজ রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও গণজীবিকার সঙ্গে যুক্ত মূল বিষয়।
চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের যাত্রায় গ্রামীণ আধুনিকায়ন কীভাবে বেগবান করা যায়?
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, “সার্বিক গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনকে নতুন যুগ ও নতুন যাত্রায় ‘কৃষি, কৃষক ও গ্রাম’ সম্পর্কিত কাজের প্রধান বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে। সহস্রাধিক প্রকল্পের অভিজ্ঞতা থেকে অভিজ্ঞতা নেওয়া উচিত। অঞ্চলভেদে ভিন্ন নীতি প্রবর্তন করা উচিত। জনগণের জন্য কল্যাণ সৃষ্টিকারী বেশ কিছু প্রকল্প চালু করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করতে হবে।”
সহস্রাধিক প্রকল্প মানে হাজারেরও বেশি গ্রামকে দৃষ্টান্ত বানানো এবং ১০ হাজারের বেশি গ্রামকে সংস্কার করা। এটি ২০০৩ সালে চে চিয়াং প্রদেশে কর্মরত থাকাকালে সি চিন পিংয়ের নিজের তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ২০ বছরে গ্রামাঞ্চলে থাকার পরিবেশ সংস্কার, সার্বিকভাবে গ্রামীণ পুনরুজ্জীন এবং সুন্দর চীন গঠনের জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পথ অনুসন্ধান করা হয়েছে। এ প্রকল্পের চেতনায় সারা চীনে চে চিয়াংয়ের মতো কাজ চালানো হয় এমন নয়; বরং স্থানীয় অবস্থা অনুযায়ী আঞ্চলিক সুবিধাকে উন্নয়নের সুবিধায় রূপান্তরিত করে শিল্পের সমৃদ্ধির পাশাপাশি জনগণের সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করা হয়।