চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্কের নতুন অবস্থান জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ
ডিসেম্বর ১৫: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত মঙ্গল ও বুধবার ভিয়েতনাম সফর করেছেন। এবারের সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সাফল্য হলো কৌশলগত তাত্পর্যের সাথে চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার ঘোষণা। এটি দু’দেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন যাত্রা শুরু। ভিয়েতনামের থং তান ক্সা ভিয়েতনাম বার্তা সংস্থার এক খবরে বলা হয়েছে, সি চিন পিংয়ের এবারের সফর হলো দু’দেশের সম্পর্কের নতুন ঐতিহাসিক মাইলফলক। এতে দু’দেশের জনগণের উপকার করার ইচ্ছা ও সংকল্প প্রতিফলিত হচ্ছে।
এবারের সফর হলো ২০১৫ সাল পর সি চিন পিংয়ের তৃতীয় ভিয়েতনাম সফর। এতে প্রতিফলিত হচ্ছে যে, চীন ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ককে উচ্চ মানের গুরুত্ব দেয়। ভিয়েতনামও সর্বোচ্চ মানে সি চিন পিংকে অভ্যর্থনা জানায়। সি চিন পিং ভিয়েতনামের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দু’দেশের তরুণ-তরুণী ও বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ দেন।
চীন ও ভিয়েতনামের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এক, আদর্শ ও বিশ্বাস সংযুক্ত এবং উন্নয়নের পথ সাদৃশ্যপূর্ণ। ১৯৯৯ সালের প্রথম দিকে দু’দেশের নেতারা নতুন যুগে দু’দেশের ‘স্থায়ী, ভবিষ্যতমুখী, সুপ্রতিবেশিসুলভ ও সার্বিক সহযোগিতামূলক’ সম্পর্কের কাঠামো গড়ে তোলেন। ২০০৮ সালে দু’দেশ সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এবারের সফরকালে দু’দেশ চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। এতে প্রতিফলিত হচ্ছে যে, দু’দেশের পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা আরও জোরদার, নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বাস্তব, সহযোগিতা আরও উন্নীত, জনমতের ভিত্তি আরও মজবুত, বহুপক্ষীয় সমঝোতা ও সমন্বয় আরও ঘনিষ্ঠ এবং মতভেদের সমাধান আরও কার্যকর হবে।