কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্মসম্মেলনে চীনে বিনিয়োগের মূল্য বোঝা যায়
আগামী বছর চীনের অর্থনৈতিক কর্মের নয়টি দায়িত্বের মধ্যে প্রথম হবে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সাথে আধুনিক শিল্প ব্যবস্থার নির্মাণে নেতৃত্ব দেওয়া। সম্মেলনে বলা হয়, ব্যাপকভাবে নতুন শিল্পায়ন উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন দ্রুততর করা হবে এবং কিছু কিছু কৌশলগত নতুন শিল্প ও ভবিষ্যতের শিল্প সমন্বয় করা হবে। ভবিষ্যতে ঐতিহ্যগত শিল্পের প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং উচ্চ ও নতুন প্রযুক্তি-শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য চীনে উন্নয়নের আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ বছরে টেসলা, জেপিমরগান চেজ, অ্যাপল ও কোয়ালকমের মতো অন্তঃদেশীয় কোম্পানির বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা নিবিড়ভাবে চীন সফর করেছেন। তাঁরা চীনের বিরাট বাজারের ওপর গুরুত্ব দেন। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চূড়ান্ত ভোগ ব্যয়ের অবদান ছিল ৮৩ দশমিক ২ শতাংশ। এবারের সম্মেলনে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি, ঐতিহ্যগত ভোগ স্থিতিশীল ও বৃদ্ধি এবং নতুন ধরনের ভোগ সৃষ্টি করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য চীনে বিনিয়োগের আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি করবে।
২০২৪ সাল হবে নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী এবং ‘চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনা’ কার্যকর করার গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। যদিও বর্তমানে চীনের অর্থনীতি কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে সুযোগ চ্যালেঞ্জের চেয়ে বেশি। এবারের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্মসম্মেলন নতুন শুরু হিসাবে চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও প্রবৃদ্ধি জোরদার ও ত্বরান্বিত করার সামর্থ্য আছে। এ প্রক্রিয়ায় চীনে বিনিয়োগের মূল্য আরও উন্নীত হবে।