চীনা অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
ডিসেম্বর ১১: অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনার জন্য বছরের শেষ সময় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালে চীনা অর্থনীতি বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার পর বাস্তব সাফল্য অর্জন করেছে। প্রামাণিক সংস্থার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়, এ বছর চীনের উদ্ভাবন সূচক বিশ্বের তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে, যা শীর্ষ দশে উন্নীত একমাত্র উন্নয়নশীল দেশ। চীনের উন্মুক্তকরণের সূচক ২০১২ সালের ০.১৭০৭ থেকে ০.৭৫১৭-এ উঠে যায়; যা ৫.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইয়াম ও আপেলসহ বৃহদাকার শিল্প এই বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনা বাজারে কর্মক্ষমতা সূচকের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। জার্মান বৃহদাকার রাসায়নিক প্রতিষ্ঠান বিএএসএফএসই জানায়, চীনের উত্পাদন ছাড়া বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক উৎপাদন কমে যাবে।
সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ২০২৩ বিশ্ব বাণিজ্যের বৃদ্ধির প্রত্যাশিত লক্ষ্য কমিয়েছে। তবে গত নভেম্বরের সংস্থাটির প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়, চীনা আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১.২ শতাংশ বেশি হয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা জানায়, বিশ্বব্যাপী সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি চীনে উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছরে জ্বালানি সম্পদ রূপান্তর সামগ্রিক অর্থনৈতিক রূপান্তর জোরদার করেছে।
এ বছরে চীনের নবায়নযোগ্য শক্তির ইনস্টল ক্ষমতা কয়লা শক্তির পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বছরের প্রথমার্ধে ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্রমবর্ধমান নবায়নযোগ্য সম্পদ প্রায় ৪৭০ মিলিয়ন কিলোওয়াট। যা চীনের স্থাপন করা ক্ষমতার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি সম্পদের উত্স হয়ে উঠেছে।