বাংলা

চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা চালানো উচিত্: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2023-11-28 14:42:23
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ২৮: চার বছরেরও বেশি সময় পর আবার বৈঠকে বসলেন চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ। ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত ১০তম চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তিনটি দেশ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও গভীর করার বিষয়ে ধারাবাহিক ঐক্যমতে পৌঁছায় এবং অভিন্ন স্বার্থজড়িত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে মতবিনিময় করে। জনমত বলছে যে, এবার ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের পরবর্তী পর্বের বৈঠকের পূর্বশর্ত ও পরিবেশ তৈরি করেছে।

“প্রতিবেশীদের দূরে সরানো যায় না”, এটাই হলো উল্লেখিত তিনটি দেশের প্রকৃত বাস্তবতা। ১৯৯৯ সালে চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতার ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ধাপে ধাপে এশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যবস্থায় পরিণত হয় এবং উপরোক্ত তিন দেশসহ এশিয়ার আধুনিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি যুগিয়েছে।

বিগত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্যাটার্নে গভীর পরিবর্তন ঘটেছে। এ অঞ্চলের বাইরের কিছু বড় দেশ তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এশিয়ায় সংঘাত ও বিভাজন উস্কে দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা এবং নেতাদের বৈঠকের ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ‘স্থগিত’ করা হয়। পর্যবেক্ষকরা উল্লেখ করেন যে, সম্প্রতি সানফ্রান্সিসকো বৈঠকে চীন ও মার্কিন শীর্ষনেতাদের অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য চীন-জাপান এবং চীন-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগের পরিবেশ তৈরি করেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মন্থর এবং চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাস্তব সহযোগিতা গভীর করার পাশাপাশি শিল্প ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। এসব কারণে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ-স্তরের যোগাযোগ পুনরায় চালু করা হয়েছে।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn