দক্ষিণ আফ্রিকায় অর্থনীতিকে বেগবান করা মহাসড়ক
নভেম্বর ২৭: দক্ষিণ আফ্রিকা হলো আফ্রিকার উন্নত দেশগুলোর একটি। দেশজুড়ে রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য ৭ লাখ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে, যা আফ্রিকার দীর্ঘতম। সেগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন বেগবান করে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতির বিকাশ এবং অবকাঠামো পুরানো হবার সঙ্গে সঙ্গে আগের সড়কগুলো দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই, মূল মহাসড়ক নেটওয়ার্কের প্রশস্তকরণ এবং পুনর্গঠন প্রকল্পগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের জাতীয় কৌশলের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেক চীনা কোম্পানি এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সক্রিয় রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ৩ নম্বর মহাসড়কের মসৃণ ফুটপাথ, পরিষ্কার স্থল চিহ্ন এবং সম্পূর্ণ রাস্তার ধারের চিহ্ন রয়েছে। এটি জটিল ওভারপাস এবং বিরতিতে র্যাম্পের মাধ্যমে অন্যান্য রাস্তার সঙ্গে সংযোগ করেছে। আফ্রিকান দেশগুলোতে যেখানে অবকাঠামো সাধারণত পশ্চাদপদ, তেমন উচ্চ-মানের সড়ক নেটওয়ার্ক বিশেষভাবে অসামান্য। এ রাস্তার মধ্য দিয়ে যানবাহন প্রবাহ খুবই বেশি। স্থানীয় বাসিন্দা লেনি নাইডু বলেন, ছুটির দিনে এবং দুর্ঘটনার সময় রাস্তায় যানজট হয়।
তিনি বলেন,
‘জাতীয় ৩ নম্বর মহাসড়ক হল জোহানেসবার্গ এবং ডারবানের লাইফলাইন। জোহানেসবার্গ আফ্রিকার একটি কেন্দ্রীয় শহর। জোহানেসবার্গ ও ডারবানের মধ্যে প্রচুর মালামাল এই রাস্তা দিয়ে যায়।’
জোহানেসবার্গ হল দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতির কেন্দ্র, বৃহত্তম শহর এবং ভারত মহাসাগরের ধারে অবস্থিত ডারবান হল আফ্রিকার ব্যস্ততম বন্দরগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে বৃহত্তম কন্টেইনার থ্রুপুট রয়েছে। তাই জোহানেসবার্গ এবং ডারবানকে সংযুক্তকারী জাতীয় ৩ নম্বর মহাসড়ক শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতির লাইফলাইন-ই নয়, বরং অন্যান্য আফ্রিকান দেশের জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গত বছরের শেষ দিকে চায়না কনস্ট্রাকশন ইস্টার্ন অ্যান্ড সাউদার্ন আফ্রিকা ৩ নং মহাসড়কের আংশিক পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ পায়। লু ছেং মিং প্রকল্পের দায়িত্বশীল ম্যানেজার। তিনি বলেন,