সি-বাইডেন শীর্ষ বৈঠক: চীন-মার্কিন সম্পর্ক ও বিশ্বের অভিন্ন কল্যাণের দিকনির্দেশক
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যকার ১৫ নভেম্বরের শীর্ষ সম্মেলনকে ইতিবাচক ও সফল বলে অভিহিত করেছেন চীনের কর্মকর্তা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ও চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
একটি অকপট এবং গভীর মতবিনিময়ের মাধ্যমে, দুই রাষ্ট্রপ্রধান চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের দিকনির্দেশনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এবং জটিল ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছান। কোনো কোন বিশেষজ্ঞ একে বিশ্বে বছরের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক কার্যক্রম বলেও অভিহিত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সেখানে তিনি এপেকের ৩০তম বৈঠকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। শীর্ষ বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। বৈঠকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন এবং গোটা বিশ্বের অভিন্ন কল্যাণের জন্য প্রেসিডেন্ট সি’র দূরদর্শী, দায়িত্বশীল রাষ্ট্রনায়কসুলভ ভূমিকা সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে এবং প্রশংসা পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সি’র এবার সানফ্রান্সিসকো যাত্রা নতুন সময়ে চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠক ৪ ঘন্টা স্থায়ী হয় এবং আন্তরিকভাবে ও একে অপরকে সম্মান করার ভিত্তিতে তারা চীন-মার্কিন সম্পর্কের কৌশলগত ইস্যু এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন-জড়িত নানা বিষয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, এবারের সানফ্রান্সিসকো বৈঠকের মাধ্যমে দু’পক্ষের নতুন আশা তৈরি হওয়া উচিত্। সঠিক চিন্তাভাবনা গড়ে তোলা উচিত্, সঠিকভাবে মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত্, পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা এগিয়ে নিতে কাজ করা উচিত্, বড় রাষ্ট্র হিসেবে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত্ এবং যৌথভাবে সাংস্কৃতিক বিনিময় বেগবান করা উচিত্। তা ছাড়া, তাইওয়ান এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আর্থ-বাণিজ্যের ইস্যুতে চীনের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।