‘সান ফ্রান্সিসকো রূপকল্প’ চীন-মার্কিন সম্পর্কের নতুন সূচনাবিন্দু হোক
নভেম্বর ১৭: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে স্থানীয় সময় বুধবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। গত বছরের ১৪ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের বৈঠকের পর এবারেরটি হলো চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষনেতাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
এবারের চীন-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষনেতাদের বৈঠকের অর্থ শুধু ‘বালি দ্বীপের মতৈক্যে ফিরে যাওয়া’ নয়, বরং দু’দেশের সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার একটি কৌশলগত কার্যক্রম। ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দেন, সেগুলো দু’দেশের সম্পর্কে মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেছে। এই ‘সান ফ্রান্সিসকো রূপকল্প’ দু’দেশের ভবিষ্যৎসম্পর্কের নতুন সূচনাবিন্দু সৃষ্টি করেছে।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জানান, স্থিতিশীল, সুস্থ ও টেকসই চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চীন কাজ করে আসছে। এর সংগে সংগে চীনের নিজের নীতি ও গুরুত্বের বিষয় রয়েছে।
চীন মনে করে, দুই দেশ ভালো অংশীদার হতে পারে এবং একে অপরকে সম্মানের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এবারের শীর্ষসম্মেলন হচ্ছে চীনা-মার্কিন সম্পর্ক ও বিশ্ব পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করার জন্য চীনের চালানো গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত কর্মকাণ্ড।
তবে কিছু কৌশলগত ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সত্যি এখনও মতবিরোধ রয়েছে। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, উভয় দেশের উচিত একযোগে কার্যকরভাবে মতবিরোধগুলো নিয়ন্ত্রণ করা। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মাদকনিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের আদানপ্রদানসহ একাধিক ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছে।