সি চিন পিংয়ের সঙ্গে চাক শুমারের দেখা ও প্রসঙ্গকথা
অক্টোবর ১০: গতকাল (সোমবার) বিকালে চীন সফররত মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন।
সাক্ষাতে সি চিন পিং বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক হলো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। দু’দেশের সম্পর্ক মানবজাতির ভবিষ্যত ও ভাগ্য নির্ধারণ করে। তিনি বলেন,
“চীন-মার্কিন সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে। দু’দেশের সম্পর্ক অনেক বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে, কিন্তু এখনও এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে পরিবর্তন হচ্ছে, যুগও পরিবর্তন হচ্ছে, তবে দু’দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ঐতিহাসিক যুক্তি বদলায়নি। দু’দেশের জনগণের যোগাযোগ ও সহযোগিতার মূল আশাও পরিবর্তন হয়নি। চীন-মার্কিন সম্পর্কের স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের সাধারণ প্রত্যাশারও কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। নতুন ঐতিহাসিক সময়ে দু’দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল ও সুষ্ঠুভাবে উন্নত করার জন্য আমি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পাস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতার প্রস্তাব করছি।”
সি চিন পিং বলেন, প্রতিযোগিতা ও দ্বন্দ্ব সময়ের প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এটি কোনো দেশের নিজস্ব সমস্যা ও বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান করতে পারে না। চীন বরাবরই মনে করে, দু’দেশের অভিন্ন স্বার্থ মতভেদের চেয়ে অনেক বেশি। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্য একে অপরের প্রতি চ্যালেঞ্জের পরিবর্তে সুযোগ বটে। ‘থুসিডাইডস ফাঁদ’ অনিবার্য নয়, বিশাল পৃথিবী চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নিজ নিজ উন্নয়ন ও অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গভীরভাবে একীভূত হলে, দু’পক্ষ একে অপরের উন্নয়ন থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে মাহামারীর পর পুনরুদ্ধার, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক হট ইস্যু সমাধানে দু’দেশের সহযোগিতা ও সমঝোতা আগের যে-কোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে, বড় দেশ হিসেবে, প্রধান দেশের মনন, দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্ববোধ প্রদর্শন করতে হবে। ইতিহাস, জনগণ ও বিশ্বের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাবের সাথে ভালোভাবে দু’দেশের সম্পর্ক মোকাবিলা করতে হবে, যাতে মানবসমাজের উন্নয়ন ও বিশ্বের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।