প্রসঙ্গ : কেন আরো বেশি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে চায়
অগাস্ট ২২: ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষসম্মেলন দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্বোধন করা হচ্ছে। সারা বিশ্বে ব্রিকস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে, আর এর মধ্যে ব্রিকসের সদস্য বাড়ানো একটি প্রধান বিষয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা জানায়, বর্তমানে ৪০টিরও বেশি দেশ ব্রিকসে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, আর ২০টিরও বেশি দেশ ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিকস বিষয়ক বিশেষ দূত আনিল সোকলাল চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজিকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে, অনেক দেশ ব্রিকসের পরিবারের একটি সদস্য হতে চায়; তা প্রমাণ করেছে যে, আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে ব্রিকসের নেতৃত্বের সামর্থ্য সম্বন্ধে সারা বিশ্ব খুব আস্থাবান। তাহলে এমন আস্থা কোথা থেকে এসেছে?
ব্রিকস সহযোগিতার ইতিহাস পর্যালোচনা করে বোঝা যায়, উন্নয়ন সবচেয়ে মৌলিক বিষয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, ব্রিকস দেশগুলোর জিডিপি আগের ৮.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৮ শতাংশ। সেই সঙ্গে এই বিষয়ে জি-৭-এর অবদান ৬৪.৬ থেকে কমে দাঁড়ায় ৪২.৯ শতাংশে। ব্রিটেনের অ্যাকর্ন ম্যাক্রো কনসাল্টিং-এর মার্চ মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে ব্রিকসের অর্থনৈতিক অবদান জি-৭কেও ছাড়িয়ে গেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০২২ সাল তথা ব্রিকসের ‘চীনা বর্ষ’ থেকে ব্রিকস দেশগুলোর সহযোগিতা অনেক ফলপ্রসূ হয়েছে। যা এবার জহানেসবার্গ শীর্ষসম্মেলনের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে। গত বছরের জুন মাসে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের ১৪তম শীর্ষসম্মেলনে ‘ব্রিকস বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ এবং টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগ’ এবং ‘ব্রিকস দেশের সরবরাহ চেইন সহযোগিতা জোরদার উদ্যোগ’সহ বিভিন্ন দলিল অনুমোদিত হয়, এর সঙ্গে ‘বেইজিং ঘোষণাও’ প্রকাশিত হয়, যা নতুন যুগে ব্রিকস সহযোগিতার জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছে। ২০২২ সালে চীন ১৭০টিরও বেশি সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে, প্রায় ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ সুফল পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে ব্রিকসের পাঁচ সদস্য দেশের বাণিজ্যিক মূল্য প্রায় ৯.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের তুলনায় ৭.৮ শতাংশ বেশি।