এশিয়ায় ‘ক্ষুদ্র ন্যাটো’ স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে
অগাস্ট ২১: বেইজিং সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম শীর্ষসম্মেলন ক্যাম্প ডেভিডে শেষ হয়েছে। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, তিন দেশের নেতারা শুধু সাংবাদিক সম্মেলনেই ১৭বার ‘চীনের’ কথা উল্লেখ করেছেন। শীর্ষসম্মেলনে প্রকাশিত তিনটি বিবৃতিতে তাইওয়ান প্রণালীর অবস্থা, দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়ে তথাকথিত নিরাপত্তার সমস্যা সৃষ্টি করে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল। বোঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্র মুখে ‘চীনের বিরুদ্ধে নয়’ এমন কথা বলে, তবে বাস্তব আচরণ কিন্তু একেবারে ভিন্ন। আসলে এবার শীর্ষসম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য কি, সবাই বুঝতে পারে।
ক্যাম্প ডেভিডি হল যুক্তরাষ্ট্রের ‘এস্টেট কূটনীতির’ গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেখানে ১৯৫৯ সালের মার্কিন-সোভিয়েত ইউনিয়ন শীর্ষসম্মেলন, ১৯৭৮ সারের মিশর-ইসরাইল শীর্ষসম্মেলন এবং ২০০০ সালের ফিলিস্তিন-ইসরাইল বৈঠকসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক কার্যক্রম হয়েছিল। এবার যুক্তরাষ্ট্র জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে বৈঠক করার উদ্দেশ্য আসলে খুব স্পষ্ট, তা হল ‘ক্ষুদ্র ন্যাটো’ প্রতিষ্ঠা করা এবং তথাকথিত ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল’ এগিয়ে নেওয়া। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা প্রধান মাগোজাকি উকেরু বলেছিলেন: যুক্তরাষ্ট্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাধ্যমে বৈরিতা করতে চায়, তা সবাই জানে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ‘ভুল করে’ চীনকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্ধারণ করে এবং সার্বিকভাবে চীনকে প্রতিরোধ করছে। গত এক বছরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অনেকবার ‘চীনের আশেপাশের কৌশলগত পরিবেশ সৃষ্টি করার’ কথা উল্লেখ করেছেন। বিশ্লেষকরা বলেন, এবার মার্কিন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষসম্মেলন হল যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশলগত লক্ষ্যের বাস্তবায়ন।