চাঙা হয়েছে বহির্গামী ভ্রমণ; গ্রীষ্ম অর্থনীতির নতুন চালিকাশক্তি গৃহস্থালির যন্ত্রপাতি
আগস্ট ১৭: গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় তাপপ্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রীষ্ম-অর্থনীতিও চাঙা হয়েছে। চলতি বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি হলো কোভিড-১৯ মহামরিকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে নামিয়ে আনার পর প্রথম গ্রীষ্মকালীন ছুটি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্য এবং হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানগামী ফ্লাইটে যাত্রী চলাচল আগের গতি ফিরে পেয়েছে। অন্তর্মুখী ও বহির্গামী যাত্রীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ গ্রীষ্মে বেইজিংয়ের বিমানবন্দরে অন্তর্মুখী ও বহির্গামী ফ্লাইট এবং পর্যটকের সংখ্যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত জুলাই মাসে ফ্লাইটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৩৬-এ এবং পর্যটকের সংখ্যা ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩ শ’ ছাড়িয়ে যায়। গত তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দৈনিক ফ্লাইটের সংখ্যা ২শ’এ পৌঁছায় এবং পর্যটকের সংখ্যা প্রথমবারের মতো মাসে ১০ লাখে উন্নীত হয়।
বেইজিং শুল্ক দপ্তরের অধীন রাজধানী বিমানবন্দরের কর্মকর্তা চাং ছিয়াং ছিয়াং বলেন, “চলতি বছরের প্রথমার্ধে অন্তর্মুখী ও বহির্গামী যাত্রীর সংখ্যা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে; বিশেষ করে গত জুন মাসের তুলনায় গত জুলাই মাসে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপগামী ফ্লাইটের সংখ্যা বেড়েছে বেশি হারে।”
গোটা চীনে গ্রীষ্মকালের পরিবহন চাঙ্গা হয়েছে। শাংহাই পু তোং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড দেখা যায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ পর্যটনের বিভিন্ন আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থলে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা বহির্গামী মোট পর্যটকের সংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি। পু তোং বিমানবন্দর ৪০টিও বেশি দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে ফ্লাইট আবার চালু করেছে। গত জুলাই মাসে আসা-যাওয়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যায়, যা গত মাসের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।