বাংলা

নতুন সাংস্কৃতিক দায়িত্ব পালন এবং আধুনিক চীনা সভ্যতা গড়তে হবে: সি চিন পিং

CMGPublished: 2023-08-08 15:52:09
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অগাস্ট ৮: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণে বস্তুগত সভ্যতা ও আধ্যাত্মিক সভ্যতা সমন্বয় করা হয়। এ বছর তিনি প্রথমবারের মত বিশ্ব সভ্যতা প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেছেন। এটি একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক দেশ গঠন এবং মানবসমাজের আধুনিকীকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমি এ বিষয়ে কথা বলব।

গত ২ জুন সি চিন পিং সংস্কৃতি উত্তরাধিকার ও উন্নয়ন সেমিনারে দেওয়া তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে চীনা সংস্কৃতির উত্তরাধিকার ও উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রধান তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ইস্যুর একটি বিস্তৃত, পদ্ধতিগত ও গভীর পর্যালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, নতুন যুগে সংস্কৃতির সমৃদ্ধি জোরদার করতে হবে, শক্তিশালী সাংস্কৃতিক দেশ গড়ে তুলতে হবে এবং চীনা জাতির আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটি হলো নতুন যুগে আমাদের নতুন সাংস্কৃতিক দায়িত্ব।

এ বছর সি চিন পিং বহুবারের মত বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সুরক্ষা ও উত্তরাধিকার বিষয় পরিদর্শন করেছেন।

গত মে মাসে শানসি প্রদেশের ইউনছেং শহর জাদুঘর পরিদর্শন করার সময় তিনি বলেন, জাদুঘরে অনেক মূল্যবান সাংস্কৃতিক অবশেষ, এমনকি ‘জাতীয় সম্পদ’ প্রমাণ করে যে আমাদের দেশে কোটি কোটি বছরের মানুষের ইতিহাস, ১০ হাজার বছরের সংস্কৃতির ইতিহাস এবং পাঁচ হাজার বছরেরও প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস রয়েছে। চীনা সভ্যতার উৎপত্তিকে গভীরভাবে অন্বেষণ করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে এবং চীনা সভ্যতার ইতিহাসের গবেষণা আরও গভীরে নিয়ে যেতে হবে।

গত জুন মাসের শুরুতে সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও উন্নয়ন সেমিনার উপলক্ষে সি চিন পিং পৃথক পৃথকভাবে চীনের জাতীয় সংস্করণ জাদুঘর ও চীনা ইতিহাস একাডেমি পরিদর্শন করেছেন।

চীনা ইতিহাস একাডেমির চীনা প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরে সি চিন পিং বলেন, চীনা সভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাস জানা ও চীনা সংস্কৃতির গভীরতা উপলব্ধি করা প্রত্নতত্ত্বের অবিচ্ছেদ্য বিষয়।

গত জুলাই মাসে চিয়াংসু প্রদেশ পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং বলেন, চীনা জাতির আধুনিক সভ্যতা গড়ে তোলা হলো চীনা শৈলীর আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয় দায়িত্ব এবং সমাজতান্ত্রিক চেতনা ও সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

গত জুলাই মাসের শেষ দিকে সি চিন পিং সিছুয়ান ও শায়ানসি প্রদেশ পরিদর্শন করেছিলেন। ইতিহাস ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকারগুলো পরিদর্শন করা ছিল এ সফররে প্রধান বিষয়।

চীনা-শৈলীর আধুনিকায়ন চীনা সভ্যতাকে আধুনিকতার শক্তি দিয়েছে। চীনা সভ্যতার গভীর ভিত্তি চীনা-শৈলীর আধুনিকায়নকে সমর্থন করে। মানুষের আধ্যাত্মিক জগতকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি মানবসভ্যতার একটি নতুন রূপ তৈরি করাও চীনা ধাঁচের আধুনিকায়নের একটি অপরিহার্য প্রয়োজন।

গত ১৫ মার্চ বেইজিংয়ে আয়োজিত চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও বিশ্বের রাজনৈতিক পার্টিগুলোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে সি চিন পিং ‘যৌথভাবে আধুনিকায়ন গড়ে তোলা’ শীর্ষক ভাষণ দেন। তিনি বলেন, চীনা শৈলীর আধুনিকায়ন হলো একটি শক্তিশালী দেশ ও জাতীয় পুনর্জাগরণ গঠনের রাস্তা এবং মানবজাতি ও বিশ্বের সঙ্গে চীনের অভিন্ন কল্যাণ অর্জনের প্রয়োজনীয় পথ। ভাষণে তিনি পুনরায় বিশ্ব সভ্যতার প্রস্তাব উল্লেখ করেছেন। তিনি যৌথভাবে বিশ্ব সভ্যতার বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মানের প্রস্তাব, মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণকর উন্নয়ন, যৌথভাবে সভ্যতার উত্তরাধিকার উদ্ভাবনের গুরুত্বকে সমর্থন দেওয়া এবং যৌথভাবে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা উন্নত করার কথা বলেছেন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn