‘জাপানের উচিত নিজের আগ্রাসনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে সামনে এগিয়ে যাওয়া’
আরেকজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “এ ধরনের অনুষ্ঠান অনেক প্রয়োজনীয়। ভুল ভুলই, সত্য সত্যই। যদি ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে তা-ই করতে হবে। আমি মনে করি, এটা একটি মৌলিক নীতি হওয়া উচিত।’
আরেকজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “এখনও ইতিহাসের অনেক দলিল অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। আমি এতে ক্ষুব্ধ। চীনে যে অমানবিক অপরাধ চালানো হয়েছিল, তা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও তা জানানো উচিত আমাদের। ”
যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি আগ্রাসী বাহিনীর অপরাধের অনেক প্রমাণ আছে, তারপরও জাপানের কিছু কিছু লোক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুদ্ধের দায়িত্ব অস্বীকার করে এবং সেদেশের শান্তিপূর্ণ সংবিধানকে সংশোধন করার অপচেষ্টা চালায়। এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন কাতসুও নিশিইয়ামা। জাপানকে শান্তিপূর্ণ সংবিধান মেনে চলার এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচল থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, “জাপানের উচিত শান্তিপূর্ণ সংবিধানের চেতনা অনুসরণ করা। অথচ, এখন অনেকেই সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছেন।”
ইউনিট-৭৩১-এর অপরাধ জাপানের কিছু কিছু লোক গোপন করার বা অস্বীকার করার চেষ্টা করে আসছেন। তবে, কাতসুও নিশিইয়ামার মতো অনেক বিশেষজ্ঞ সবাইকে সত্য ইতিহাস জানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। জাপানের সরকারের উচিত, এ সব ন্যায্য কণ্ঠ শোনা এবং নিজের আগ্রাসনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে আত্মসমালোচনা করা ও সেই অনুসারে কাজ করা।