বাংলা

বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার হার বাড়ছে

CMGPublished: 2023-07-29 17:19:15
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। নানা পদক্ষেপের পরও এ অবস্থা। দেশে ঝুঁকিমুক্ত সড়কের দাবিতে সবাই একমত হলেও পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়নি। সারা দেশে প্রতিদিনই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার অনেক খবর পাওয়া যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশের শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (SCRF) পর্যবেক্ষণে এসব দুর্ঘটনার জন্য ১৬টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে আজ।

এসসিআরএফের (SCRF) প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সারা দেশে ২ হাজার ৭৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৮৯৮জন নিহত ও চার হাজার ৭২০জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৭৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১০৮৮। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল আন্তরিক। তবে, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দায়িত্বশীলতার ঘাটতিও রয়েছে।

গণমাধ্যমে যে পরিমাণ তথ্য প্রকাশিত হয়, প্রকৃত দুর্ঘটনা তার চেয়ে চার বা পাঁচ গুণ বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নানা রকম কমিটি গঠন এবং সুপারিশ করার চক্র থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে। এসবের চেয়ে বেশি প্রয়োজন জনবান্ধব পরিবহণ কৌশল প্রণয়ন করা। নাগরিক সুযোগ সুবিধাগুলো গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া, যাতে প্রধান শহরকেন্দ্রীক মানুষের চাপ না-বাড়ে। এতে করে সড়কে যান চলাচলে সাধারণ নিয়মকানুন প্রয়োগ করা সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।

এসসিআরএফের (SCRF) প্রতিবেদন অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি প্রধান কারণ হচ্ছে ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন। ২. অদক্ষ, অসচেতন ও অসুস্থ চালক। ৩. বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। ৪. প্রচলিত আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ওভারটেকিং। ৫. নিয়োগপত্র, সাপ্তাহিক ছুটি ও নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা না থাকায় চালক ও সহকারীদের মানসিক অবসন্নতা। ৬. বিভিন্ন স্থানে সড়কের বেহাল দশা। ৭. জাতীয় মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। ৮. দূরপাল্লার সড়কে বাণিজ্যিকভাবে বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচল। ৯. মহাসড়কে স্বল্পগতির তিন চাকার যানবাহন চলাচল। ১০. তরুণ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো। ১১. বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি ও সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি। ১২. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং হাইওয়ে পুলিশের জনবল ও অন্যান্য সুবিধার ঘাটতি। ১৩. সাধারণ মানুষের সচেতনতা ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণার অভাব। ১৪. চালক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা। ১৫. প্রচলিত আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর শিথিলতা। ১৬. বিভিন্ন টার্মিনাল ও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn