বাংলা

চীনের উপর ক্রমাগত সাইবার আক্রমণ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কী ধরনের ‘নিরাপত্তা উদ্বেগ’ প্রকাশিত হয়?

CMGPublished: 2023-07-27 14:51:39
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বর্তমানে, বিশ্বজুড়ে সাইবার নিরাপত্তায় নিয়োজিত গবেষকরা একমত যে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সাইবারস্পেসে যা তৈরি করার চেষ্টা করছে, তা সুস্পষ্ট আধিপত্যবাদী বৈশিষ্ট্যসহ একটি ‘শৃঙ্খলা বিন্যাস’ এবং এমনকি এ থেকে তাদের মিত্ররাও রেহাই পাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী নজরদারি নেটওয়ার্কে চীন প্রধান লক্ষ্যবস্তু ও শিকার। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে চীনের উপর নজরদারি বাড়ানো কৌশলগত প্রতিযোগিতার একটি প্রয়োজনীয় উপায়। যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া চীনের ‘গোপন অস্ত্র’ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের উত্থানের ‘হুমকি’ থেকে রক্ষা করা যায়। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র চীনের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে চোখ ও কান লাগানোর চেষ্টা করতে চায়। জানা গেছে, উহান ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সরঞ্জামগুলোতে একটি ব্যাকডোর প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা বেআইনিভাবে ভূমিকম্পের তীব্রতার ডেটা নিয়ন্ত্রণ ও চুরি করতে পারে এবং চীনের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

ইন্টারনেটে বহুল প্রচারিত একটি কথা আছে। সেটা হলো যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের বিরুদ্ধে যে বিষয়ে অভিযোগ করে, তা নিজেই করেছে বা করছে। অনেক মার্কিন কর্মকর্তা সম্প্রতি তথাকথিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের উপর চীনের সাইবার আক্রমণ’ নিয়ে অতিরঞ্জন করছেন। উহান ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সেন্টারে সাইবার আক্রমণ আবারও প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমান ‘নিরাপত্তা উদ্বেগের’ কারণে চীনের উপর ক্রমাগত অনিয়ন্ত্রিত, সীমাহীন ও অতল সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে এবং আবারও প্রমাণ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রকৃত হ্যাকার সাম্রাজ্য।

চীন দায়িত্বজ্ঞানহীন সাইবার আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানায় এবং সাইবার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সাইবার আধিপত্যের বিরোধিতা করতে এবং যৌথভাবে সাইবার হামলার জবাব দিতে সারা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষদের উচিত হাতে হাত ধরে চলা। সাইবারস্পেস মানবজাতির এক অভিন্ন জগত। একে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার বাইরের স্থান বলে মনে করে সিএমজি সম্পাদকীয়।

লিলি/রহমান/রুবি

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn