চীনে ইলোন মাস্কের কথাগুলো মার্কিন রাজনীতিকদের শোনা উচিত
মানুষ দেখেছে যে, এক সপ্তাহ আগে, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী শাংহাইয়ে মার্কিন পুঁজি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, চীন দৃঢ়ভাবে উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ এগিয়ে নেবে, চীন মার্কিন প্রতিষ্ঠানের চীনে উন্নয়ন এবং যৌথ কল্যাণ বাস্তবায়নে স্বাগত জানায়। আলোচনা সভার প্রতিনিধিরা বলেন, তাদের কোম্পানি চীনা বাজারের উন্নয়ন নিয়ে খুব আশাবাদী।
যেখানে বেশি লাভ হয়, সেখানেই পুঁজি যায়। এটাই অর্থনীতির নিয়ম। চীন সরকারের হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে চীনে বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগে মুনাফার হার ৯.১ শতাংশ। তবে ইউরোপে এবং যুক্তরাষ্ট্রে যা মাত্র ৩ শতাংশ। অন্যান্য নতুন অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর সরকারি পুঁজি বিনিয়োগে মুনাফার হার ৪ থেকে ৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের বাজার নিয়ে খুব আস্থাবান। তারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে যে, মার্কিন সরকার চীনকে প্রতিরোধ করা এবং নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে শুধুই মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা রাজনীতির শিকার হতে চায় না। বৈজ্ঞানিক আধিপত্যবাদের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার বার সেমি-কন্ডাক্টরসহ হাই টেক প্রতিষ্ঠানকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করায় উসকে দিয়েছে। যা বাজারের অর্থনৈতিক নিয়ম এবং ন্যায্যতার লঙ্ঘন। তা বিশ্বের শিল্প চেইন এবং সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীল করার প্রধান বাধা। যুক্তরাজ্যের ফাইনাশিয়াল টাইমসের প্রবন্ধে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে, শুধু চীনকে প্রতিরোধ করলেই ঝুঁকি থেকে বের হওয়া যায়। এই চিন্তাধারা বিরাট একটি ঝুঁকি।
চীন-মার্কিন অর্থনীতি গভীরভাবে মিশে আছে। দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা দু’দেশের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বিশ্বের জন্যও সহায়ক। এটি মৌলিক চিন্তাধারা। মার্কিন রাজনীতিকদের মাথায় শুধু ‘ভৌগলিক রাজনৈতিক স্বার্থ’, ‘ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থের’ বিষয়টি মাস্কের মতো মার্কিন শিল্পপতিরা স্পষ্টভাবে জানেন।
এদিকে, মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের কর্মকর্তারা বলেছেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক ভালোভাবে উন্নত করতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর উত্থাপিত পারস্পরিক সম্মান ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সঠিক পথে এগিয়ে যেতে হবে।