চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন ওয়েইতোংয়ের ফলপ্রসু বাংলাদেশ সফর
উভয়পক্ষ ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে কার্যকর হওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্ক এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ব্যবহার করে চীনে রপ্তানি বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করে। চীনা পক্ষ প্রয়োজনীয় পণ্যমান ঠিক রেখে বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা এবং হিমায়িত খাবার আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ পক্ষ চীনের সাথে বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে ডিএফকিউএফ কভারেজের মধ্যে শাকসবজি, ওষুধ, কাঁচা চামড়া, জুতা, নন-নিট পোশাক ইত্যাদির মতো অন্যান্য রপ্তানি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে।
চীনা উপমন্ত্রী চট্টগ্রামে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন। তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-কুয়াংচৌ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আগ্রহের কথা জানিয়ে চীনা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন। দু’পক্ষ ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত কনস্যুলার পরামর্শ চালু করতে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজিতে উদ্ভাবনের বিষয়ে চীনের সাথে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উভয় পক্ষ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতেও আগ্রহ দেখিয়েছে।
উভয়পক্ষ বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং নিয়মিত স্টাফ পর্যায়ের আলোচনা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। অনলাইন জুয়া এবং মাদক পাচারের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা তৈরিতে চীন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। জননিরাপত্তা ইস্যুতে সংলাপে দু’পক্ষ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আবহাওয়া স্যাটেলাইটের তথ্য শেয়ার করার জন্য বাংলাদেশ চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।