চীনের উন্নয়নের যৌক্তিকতা, স্থিতিস্থাপকতা ও নিশ্চয়তা বিশ্বকে আস্থা যুগিয়েছে
চীনা অর্থনীতি সফলভাবে বাজারকে স্থিতিশীল করেছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে, বিদেশী বাণিজ্য সম্প্রসারিত করেছে, এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করে গেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনা অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পায়। গেল তিন বছরে চীনা অর্থনীতি ৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে বিশ্বের গড় মানের চেয়ে বেশি। এবারের দুই অধিবেশনে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, চীন অব্যাহতভাবে নীতির ধারাবাহিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখবে, বিভিন্ন নীতির সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করে যাবে, উচ্চমানের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন নীতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে, এবং উচ্চমানের উন্নয়ন জোরদার ও দেশী-বিদেশী সহযোগিতা ও অভিন্ন কল্যাণের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করতে সচেষ্ট থাকবে।
বিগত তিন বছরে চীনে আসলে বিদেশী অর্থ ব্যবহারের আকার এবং পণ্য আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। দেশের পরিষেবা শিল্প উন্মুক্তকরণের মান অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে। চীনের ব্যবসায় পরিবেশ অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, একটি উচ্চ-স্তরের সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের দাবি অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। আধুনিক অবকাঠামো ব্যবস্থার নির্মাণ ও উচ্চস্তরের বাজার-ব্যবস্থার নির্মাণ ত্বরান্বিত করতে হবে। স্থিতিশীলভাবে প্রাতিষ্ঠানিক উন্মুক্ততা বাড়াতে হবে।
ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদের পটভূমিতে, চীন বরাবরই বহুপক্ষবাদ সমর্থন করে আসছে ও অর্থনীতির বিশ্বায়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আরসিইপি বাস্তবায়ন, সার্বিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারের আলোচনা ত্বরান্বিতকরণ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উদারীকরণ ও সহজীকরণ, উচ্চমানের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ প্রস্তাব বাস্তবায়ন, এবং অব্যাহতভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রের যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন।