পশ্চিমা গোষ্ঠীর নির্ধারিত তেলের দাম মানবে না রাশিয়া; পাল্টা ব্যবস্থা মস্কোর
এদিকে, জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া যদি পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া দামে তেল বিক্রি না করে উৎপাদন কমিয়ে দেয় তাহলে ভবিষ্যতে তেলে জোগানে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের পর রাশিয়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অবস্থানে রাশিয়া। তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় কমানোই পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, রাশিয়া যেন তৃতীয় কোনো দেশে উচ্চমূল্যে তেল বিক্রি করে তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পাশ কাটাতে না পারে, সে জন্যই পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থায় রাশিয়া যদি পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া দামে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে রাজি হয় তাহলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কিছুটা কমবে। এই সুবিধাটি বাংলাদেশও পাবে। আর যদি রাশিয়া নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি না করে উৎপাদন কমিয়ে দেয় তাহলে জোগানে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এতে দাম কিছুটা বেড়েও যেতে পারে। তবে, রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ সরাসরি তেল আমদানি করে না। তাই রাশিয়ার তেলের ওপর বিধিনিষেধের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না বলে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।