বসন্ত উত্সবের ছুটিতে চীনের অর্থনীতির হালহকিকত প্রসঙ্গ
জানুয়ারি ২৮: চলতি বছর চীনের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উত্সবের ছুটি ছিল চীনাদের জন্য অসাধারণ এক ছুটি। এ সময় মহামারি প্রতিরোধব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়। ফলে, চীনারা তিন বছর পর মনের মতো করে বসন্ত উত্সবের সাত দিনের ছুটি কাটানোর সুযোগ পায়। এর ফলে, এবারের ছুটিতে চীনে খুচরা বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে।
চলতি বছরের বসন্ত উত্সবের ছুটিতে চীনের অভ্যন্তরীণ পর্যটনবাজারে পর্যটকের সংখ্যা ৩০ কোটি পার্সন টাইমস ছাড়িয়ে যায়। এ সময় দেশের ১০৭৩৯টি এ শ্রেণীর দর্শনীয় স্থান স্বাভাবিকভাবে চালু হয়, যা দেশের সব এ শ্রেণীর দর্শনীয় স্থানের মোট সংখ্যার ৭৩.৫ শতাংশ। বিভিন্ন জায়গায় টিকিট মওকুফ বা ডিসকাউন্ট দেওয়া হয় এবং কুপনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়। অসম্পূর্ণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বসন্ত উত্সবে বিনা টিকিটে উন্মুক্ত এ শ্রেণীর দর্শনীয় স্থানের সংখ্যা ছিল ১২৮১টি, যা দেশের সব দর্শনীয় স্থানের ৯ শতাংশ।
চীনের অনেক জায়গার দর্শনীয় স্থান এবারের ছুটিতে রাতেও খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়। যেমন, বেইজিংয়ের পাতালিং অংশের মহাপ্রাচীর প্রথমবারের মতো রাতের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে; সিছুয়ান প্রদেশে রাতে চিন নদীতে ভ্রমণ, লন্ঠন মেলা, লাইট শোসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালু থাকে।
বিভিন্ন নীতি ও সুবিধাজনক ব্যবস্থার কারণে, অনেক দর্শনীয় স্থানে এবার মানুষের ভীড় দেখা যায়। চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপাত্তকেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের বসন্ত উত্সবের সরকারি ছুটিতে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩.১ শতাংশ বেশি। এতে আয় হয়েছে ৩৭৫.৮ বিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।