বিশ্ব যত অশান্ত, চীন-ইইউ সহযোগিতা তত গুরুত্বপূর্ণ
ডিসেম্বর ২: ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যত বেশি অস্থির হয় এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যত বাড়ে, চীন-ইইউ সম্পর্কের বৈশ্বিক তাত্পর্যও তত বাড়ে।’ গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ে ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট মিশেলের সাথে বৈঠক করেন। প্রেসিডেন্ট সি চীন-ইইউ সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে চার দফা দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করেন। তিনি আশা করেন যে, ইইউ চীনের আধুনিকীকরণের পথে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হবে। মিশেল বলেন, ইইউ চীনের একটি নির্ভরযোগ্য ও অনুমানযোগ্য অংশীদার হতে ইচ্ছুক। এর মধ্য দিয়ে চীন-ইইউ সম্পর্কের উন্নয়নে দু’পক্ষের ইতিবাচক আশা-আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কুড়িতম জাতীয় কংগ্রেসের পর, চীনা শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ইইউ’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হলো। এটি ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মিশেলের প্রথম চীন সফরও বটে। সম্প্রতি ইউরোপীয় পরিষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, উত্তেজনাপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে, এই সফর ইইউ-চীন যোগাযোগের জন্য একটি ‘সময়োপযোগী সুযোগ’। ফরাসি ‘লা ফিগারো’ পত্রিকা বলেছে, মিশেলের সফর চীন ইস্যুতে ইউরোপের অবস্থানসম্পর্কিত।
চীন ও ইউরোপ হল বিশ্বশান্তি বজায় রাখার জন্য দুটি প্রধান শক্তি, অভিন্ন উন্নয়নের জন্য দুটি প্রধান বাজার এবং মানবজাতির অগ্রগতির জন্য দুটি প্রধান সভ্যতা। চীন সবসময় চীন-ইইউ সম্পর্ককে কৌশলগত উচ্চতা এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে আসছে। বৈঠকের সময়, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সিপিসির কুড়িতম জাতীয় কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল এবং চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে, চীনের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেন। ব্যাখ্যায় চীনের নিজস্ব ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার কথা যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি আন্তর্জাতিক সমাজকে একটি ইতিবাচক ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। চ্যালেঞ্জ ও সংকটের মুখোমুখি বিশ্বের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে ইউরোপসহ আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য এটা যেন চীনের ‘আশ্বাস’।