চীন-মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের তাত্পর্য
গত জুন মাসে চীনের কথা ছিল, মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মতভেদকে সংঘর্ষ ও বৈরিতায় রূপান্তরিত হতে দেওয়া যাবে না। অবশ্য, চীনের বক্তব্যে পরিবর্তন এসেছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবে নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। জুন মাসের বৈঠকের আগে মার্কিন সামরিক নৌজাহাজ তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করে। চীনের গণমুক্তি ফৌজ পুরো যাত্রায় মার্কিন জাহাজের ওপর কড়া নজর রাখে এবং যে-কোনো উসকানি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়।
আসলে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্ধারণের পর বিভিন্ন দিক থেকে চীনকে অবরুদ্ধ ও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে আসছে। অবশ্য, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র আস্তে আস্তে বুঝতে পেরেছে যে, সংঘর্ষ ও বৈরিতায় কেউ জয়ী হবে না। এতে দু’দেশের স্বার্থই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই জুন মাসের বৈঠকে দু’পক্ষ একমত হয়েছে যে, দু’দেশের সশস্ত্রবাহিনীর উচিত যোগাযোগ বজায় রাখা এবং সংকট নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেওয়া। বৈঠকে চীন আবারও তাইওয়ান সমস্যায় চীনের দৃঢ় অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেং হ্য বলেছেন, তাইওয়ান সমস্যা হলো চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি। তাইওয়ান চীন-মার্কিন সম্পর্কের একটি ‘রেড-লাইন’, যা অতিক্রম করা যাবে না।
বৈঠকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিষয়ও উল্লেখ করেছে। এশিয়ার কাছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে শান্তি ও স্থিতিশীলতা। এশিয়ায় শুধু যুদ্ধজাহাজ ও বিমানবাহী জাহাজ পাঠানোয় অভ্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রকে এ সত্য উপলব্ধি করতে হবে।