বছরের প্রথম দশ মাসে চীনে বিদেশি পুঁজির ব্যবহার হয়েছে এক ট্রিলিয়ন ইউয়ানের বেশি
বহির্বিশ্বের পরিবেশ জটিল হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে এসব বিরাটাকারের উদ্যোক্তার মধ্যে বেশিরভাগই চীনে তাদের পুঁজি বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, চীনের বাজারের ওপর তাদের আস্থা আছে এবং তারা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরালো করতে ইচ্ছুক।
দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে দেখা যাক। চলতি বছর চীনে দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজি বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি অন্যান্য উন্নত অর্থনৈতিক সত্তার চেয়ে বেশি হয়েছে। ২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার মোট রফতানির ৪২.৫ শতাংশই হয়েছে চীনে। ২০০০ সালে, চীনে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম রফতানিপণ্য ছিল কাঠ ও চামড়া বা জুতা।
বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, চীনের বিশাল ভোক্তা বাজার এবং পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ প্রদান করেছে। স্থিতিশীলতা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে ভালো দিকে অর্থনীতির অগ্রসর হওয়ার প্রবৃদ্ধির প্রবণতা এবং সমতার ভিত্তিতে পারস্পরিক কল্যাণকর বৈদেশিক উন্মুক্ততার দৃষ্টিভঙ্গি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের পূর্ণাঙ্গ নিশ্চয়তাও প্রদান করেছে। ট্রেড প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র এবং চায়না চেম্বার অফ ইন্টারন্যাশনাল কমার্সের মহাসচিব সুন সিও বলেন,
‘দেশীয় সামাজিক পরিবেশ স্থিতিশীল, অর্থনীতির সম্ভাব্য শক্তি বিশাল, বাজারের অবকাশ বিশাল, শিল্পের সমর্থন সম্পূর্ণ, নীতিগত সুবিধা স্থিতিশীল। তাই, বিশ্বের অনেক প্রধান পুঁজি বিনিয়োগকারী সংস্থা চীনের বাজারের ওপর আস্থাশীল।’