সাইবার খাতে দেশকে শক্তিশালী করা হলে চীনা জনগণ আরও উপকৃত হবে
সেপ্টেম্বর ২৬: হাই-এন্ড চিপস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কী অ্যালগরিদম, সেন্সরসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। স্মার্ট যন্ত্রপাতি, নতুন ডিভাইস, এবং পরিষেবা খাতের রোবটসহ সংশ্লিষ্ট পণ্য জীবনকে আরও সহজ করে তুলছে। চিকিত্সা, পেনশন, ও শিশুদের যত্নে ডিজিটাল পরিষেবা ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। সম্প্রতি দ্বিতীয় চীনের আন্তর্জাতিক ডিজিটাল পণ্য মেলায় নতুন পণ্যের নতুন ফর্মেট ও নতুন অ্যাপ্লিকেশন দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চীন সাইবার খাতে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে উঠছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া আধুনিকায়ন সম্ভব না। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি’র) কেন্দ্রীয় কমিটির সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রধান গ্রুপের প্রথম অধিবেশনে সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সাইবার খাতে দেশকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। এটি হলো ‘আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রবণতা থেকে শুরু করে, সামগ্রিক ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয় ও নব্যতাপ্রবর্তন উন্নয়নের মাধ্যমে সাইবার শক্তিশালী দেশ গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালানো’।
১৮তম জাতীয় কংগ্রেসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ইন্টারনেট, ইন্টারনেটের উন্নয়ন ও ইন্টারনেটভিত্তিক শাসনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এসময় চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ইন্টারনেটব্যবস্থার নতুন ধারণা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব বিশ্বে এক শতকের পরিবর্তন এনেছে। চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণের সামগ্রিক কৌশলের সাথেও এই বিপ্লব যুক্ত হয়েছে। বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পূর্ণরূপে সামাজিক উৎপাদন ও জীবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে গেছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্যাটার্ন, সুদের প্যাটার্ন এবং নিরাপত্তার প্যাটার্নও তথ্যপ্রযুক্তির কারণে পরিবর্তন হয়ে গেছে।