চীনের উত্থাপিত ‘বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ’ উন্নয়নশীল দেশের জন্য সহায়ক
থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রমুদ্বীনই বলেছেন, চীন সরকার সবচেয়ে উপযোগী সময়ে ‘বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ’ উত্থাপন করেছে। থাইল্যান্ড এতে পূর্ণ সমর্থন জানায় এবং দৃঢ়ভাবে চীনের সঙ্গে বহুপক্ষীয় সহযোগিতাব্যবস্থার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে, ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করবে এবং নিজের টেকসই উন্নয়নের পথ খুঁজবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এবং আঞ্চলিক সংঘর্ষের কারণে বর্তমান বিশ্ব কঠোর সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর উত্থাপিত ‘বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ’-এর উদ্দেশ্য হল বিশ্ব কমিউনিটি স্থাপন করা, যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নকে দ্রুততর করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান আচিম স্টেইনার তাঁর ভাষণে বলেন, জাতিসংঘের সর্বশেষ উন্নয়ন রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, মানবজাতির উন্নয়নের মান গত দুই বছর ধরে হ্রাস পাচ্ছে; যা গত ৩০ বছরের মধ্যে বিরল। বিভিন্ন দেশের উচিত সহযোগিতা ও বোঝাপড়া জোরদার করা, আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া। চীনের উত্থাপিত ‘বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ’ বিভিন্ন দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করা এবং যৌথভাবে জাতিসংঘের ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন জোরদার করবে।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ চীন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র কথা মতো, চীন নিজের উন্নয়নের রূপান্তর বাস্তবায়ন করছে, যাতে ‘শূন্য নির্গমন’ বাস্তবায়ন করা যায়। চীন অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশকে নিজের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। আজকের সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে পারবে।
বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে আরও বলেন, চীন দারিদ্র্যবিমোচন, জীবিকার উন্নয়ন, মানবজাতি ও প্রকৃতির সুষম সহাবস্থানসহ বিভিন্ন খাতে অর্জিত সাফল্য এবং বিভিন্ন দেশের টেকসই উন্নয়নের নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে।