লাতিন আমেরিকায় অভিবাসী দুর্ঘটনার পিছনে আছে ‘আমেরিকান দুঃস্বপ্ন’
অন্যদিকে, অভিবাসী দুর্ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের বিশৃঙ্খল অভিবাসী নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ট্রাম্প সরকারের সময়ে কঠোর অভিবাসী নীতি প্রয়োগ করা ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথগ্রহণের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সার্বিকভাবে অভিবাসী প্রস্তাব সংস্কার করা হবে। তবে এখনো কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয় নি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে, ট্রাম্প সরকারের সময় ‘মেক্সিকোর থাকার’ নীতি উত্থাপিত হয়েছিল; তা আবারও চালু হয়েছে। মধ্য আমেরিকা দেশের অভিবাসীদের আবার মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দু’দেশের সীমান্তের অভিবাসী সমস্যা আরো অবনতি হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক উচ্চপদস্থ উপদেষ্টা কৃষি ও’মারা ভিগ্নরাজ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভুল অভিবাসী নীতি এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। যুক্তরাষ্ট্র মানবিক আশ্রয় ব্যবস্থা বা কার্যকর অভিবাসী কাঠামো স্থাপন করতে পারে নি; এর ফলে অনেক প্রাণহানি হচ্ছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অভিবাসী সমস্যা ইতোমধ্যে দুই রাজনৈতিক পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বিতার রাজনৈতিক যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যমেয়াদী নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। মার্কিন রাজনীতিক এক দিকে অভিবাসী সমস্যা সমাধানে নানা ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, অন্যদিকে অভিবাসী ইস্যুর মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বীকে বাধা দেওয়ার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। চলতি বছর, কিছু রিপাবলিকান পার্টির গভর্নর অনেকবার অভিবাসী ইস্যুকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাঁধে স্থানান্তর করেছে। রাজনৈতিক দলের লড়াইয়ে, এসব অভিবাসী যেন ফুটবলের মত এখানে-সেখানে যায়, তারা নিজের গন্তব্য খুঁজে পায় না। খাওয়া-দাওয়া এবং থাকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাদের মানবাধিকার মার্কিন রাজনীতিকের কাছে যেন স্বেচ্ছাচারের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।