ব্রিক্স বিজনেস ফোরামে মূল ভাষণ দিয়েছে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
সম্প্রতি আমি বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। বিভিন্ন পক্ষকে অভিন্ন, সহযোগিতামূলক ও টেকসই নিরাপত্তামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ডের অখণ্ডতা এবং জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা রক্ষাসহ দেশগুলোর সংঘাত ও বিতর্ক সমাধানে গুরুত্ব দেই। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত ‘নিষ্ফল খেলা’ বাদ দেওয়া এবং যৌথভাবে আধিপত্যবাদ ও শক্তির রাজনীতির বিরোধিতা করার পাশাপাশি পরস্পরকে শ্রদ্ধা দেখানো, সমতা ও ন্যায্যতা, সহযোগিতার মাধ্যমে সমন্বিত অর্জনের নতুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা।
দ্বিতীয়ত: আমাদের উচিত পরস্পরকে সহযোগিতা করা এবং বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন বেগবান করা। বর্তমানে বিশ্ব উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্বের ৭০টিও বেশি দেশের ১২০ কোটি মানুষ করোনা, খাদ্য, জ্বালানি, ঋণ সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। গত দশের অধিক বছরের দারিদ্র্যমুক্তকরণের সাফল্য রক্ষার চেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে। গত বছর আমি ‘বিশ্ব উন্নয়নের প্রস্তাব’ উত্থাপন করেছিলাম। তাতে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ কেন্দ্রিক ঐক্যবদ্ধ, সমতাসম্পন্ন, ভারসাম্যপূর্ণ ও সবার জন্য কল্যাণকর বিশ্ব উন্নয়নের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নত করা এবং সার্বিকভাবে দারিদ্র্যবিমোচন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ডিজিটাল যোগাযোগ ও শিল্পায়নসহ নানা খাতের সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন দফায় প্রযুক্তিগত বিপ্লব ও শৈল্পিক সংস্কারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়ন ও সুবজায়ন দ্রুততর করতে হবে। পাশাপাশি মহামারি খাতে সহযোগিতা চালাতে হবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে আরও বেশি করোনা প্রতিরোধক ঔষুধ দিতে হবে, যাতে দেশগুলো দ্রুতভাবে মহামারি পরাজিত করতে পারে।