৪০ হাজার শব্দের প্রবন্ধে মিথ্যাচারের সম্রাট- যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত চেহারা খণ্ডন করা হয়েছে সিএমজি সম্পাদকীয়
জুন ২১: সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জন ব্লিনকেন এশিয়া সমিতিতে চীনবিষয়ক নীতি সম্পর্কে এক ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি ‘চীনা হুমকি’ নিয়ে অপপ্রচার করার পাশাপাশি চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছেন এবং চীনের ‘দেশি-বিদেশি নীতির’ সুনামহানি করার চেষ্টা করেছেন। তবে এসব বক্তব্য দিয়ে চীনকে প্রতিরোধ করার আচরণ ও মার্কিন দ্বৈত মানদণ্ডের চেহারা ঢাকা যাবে না। গত ১৯ জুন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভুল ধারণা এবং বাস্তবতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। তাতে বাস্তব তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে চীন নিয়ে মার্কিন মিথ্যাচার, ভণ্ডামি ও ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ তুলে ধরা হয়।
কে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছে? কে বাধ্যতামূলক কূটনীতি চালাচ্ছে? কে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে? কে দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বজুড়ে নজরদারি করছে? সেই ৪০ হাজার শব্দের প্রবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২১টি ভুল তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বিশ্ব স্পষ্টভাবে জানতে পারে যে- বিশ্বে বিশৃঙ্খলার উত্স, বাধ্যতামূলক কূটনীতি উদ্ভাবনকারী এবং বিশ্বের বৃহত্তম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ এবং বিশ্বের বৃহত্তম সাইবার হামলাকারী- হ্যাকার দেশ হলো একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র।
এর মধ্যে মার্কিন রাজনীতিকরা যে কথিত ‘চীন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার জন্য বৃহত্তম কঠোর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে’ বলে অপপ্রচার চালায়, তা সবচেয়ে খারাপ মিথ্যাচার। যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে আন্তর্জাতিক আইন, চুক্তি, নীতি ও সংস্থাকে রক্ষা করেছে, যা সাদাকে কালো করে দেখানোর মতো ব্যাপার। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও বিশ্ব উন্নয়নের দিক থেকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পৃথক আচরণ তুলনা করা যাক।
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা দেশ হিসেবে চীন সর্বপ্রথমে জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী সেনা পাঠিয়েছে এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার মিশনে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থদাতা দেশ হলো চীন। বিশ্বের নানা সমস্যা সমাধান এবং বিশ্বের শৃঙ্খলা রক্ষার লক্ষ্যে চীন ধারাবাহিকভাবে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ, বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ এবং বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ উত্থাপন করেছে। ফিলিপিন্সের ব্রিক্স দেশসমুহের নীতিবিষয়ক গবেষণালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, চীন বাস্তবসম্মত পদ্ধতিতে বহুপক্ষবাদে অবিচল রয়েছে।