"ভেজানোর সময় পান করা" চেক জনপ্রিয় বিয়ার স্পা
আফ্রিকান যুবকরা কেনিয়ার প্রথম ‘সেজ অফ ওয়ার বুকস্টোরে; ঐতিহ্যবাহী চীনা জ্ঞান সম্পর্কে শিখছে
চীনের প্রাচীনতম সামরিক লেখা হিসাবে, বসন্ত ও শরতের সময়কালে (Spring and Autumn period (770-476 BC)) কৌশলবিদ সুন উ-এর লেখা ‘দ্য আর্ট অফ ওয়ার’ কেবল চীনেই সুপরিচিত নয়, এর মধ্যে থাকা প্রজ্ঞা ও দর্শনও আফ্রিকার তরুণদের কাছে নতুন চিন্তাভাবনার খোরাক যুগিয়েছে।
কেনিয়ার কেনিয়াটা ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত ‘সেজ অফ ওয়ার বুকস্টোর’ খুবই পরিচিত। বইয়ের দোকানে ‘দ্য আর্ট অফ ওয়ার’ এর বিভিন্ন রূপ অনেক শিক্ষক এবং ছাত্রকে বই পড়তে আকৃষ্ট করেছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, এটি সামরিক ঋষি সুন উ’র নিজ শহর শানতং প্রদেশের বিদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম ‘সেজ অফ ওয়ার বুকস্টোর’।
২০ বছর বয়সী কিরিমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা বিভাগের একজন ছাত্র। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, বইয়ের দোকানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে তিনি ইতিমধ্যেই ‘দ্য আর্ট অফ ওয়ার’ সম্পর্কে কিছু ধারণা পেয়েছিলেন। এই কাজটি সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, অনেক সেলিব্রিটি এটি পড়ার পরামর্শ দেন, যা তার পড়ার কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
‘এটি এমন একটি বই নয় যা বলপ্রয়োগ করে। এটি কৌশলগত প্রজ্ঞা এবং দর্শনের উপর জোর দেয়, যা আমি মনে করি জীবন ও কর্মক্ষেত্রে খুবই সহায়ক। এটি আমাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি শিখিয়েছে: আপনি যে পরিস্থিতিতেই থাকুন না কেন, মানুষকে অবশ্যই সাহসী এবং শক্তিশালী হতে হবে।’ কিরিমি বলেন যে সুন উ’র জ্ঞানের আজও অনেক ‘রেফারেন্স মূল্য’ রয়েছে এবং এটি প্রচার ও শেখা জরুরি।
কিরিমি বিশ্বাস করেন যে, চীনা সংস্কৃতি ও জ্ঞানের প্রভাব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সুন উ’র কাজগুলি স্থানীয় তরুণদের ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ এবং শেখার জন্য একটি সুযোগ করে দিয়েছে। ২০২৩ সালে, কিরিমি শানডং নরমাল ইউনিভার্সিটিতে ৬মাস চীনা ভাষা অধ্যয়ন করেছিলেন, যা তাকে সমৃদ্ধ এবং রঙিন চীনা সংস্কৃতির কাছে উন্মোচিত করেছিল। তিনি চাইনিজ সভ্যতার গভীর উপলব্ধি এবং ভবিষ্যতে কেনিয়া ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান উন্নীত করার আশা করেন।