চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা আরও গভীর করা– ৮ম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপোর উল্লেখযোগ্য বিষয়
আল্পস জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং যখন তিনি ছোট ছিলেন, তখন থেকেই তিনি শিল্প তৈরি করে চলেছেন। তার কাজ অনেক বিশ্বমানের শিল্প জাদুঘরে প্রদর্শিত হয়েছে। ২০১৪ সালে, তিনি শাংহাই এবং শেনজেনে শিল্প প্রদর্শনীও করেছিলেন। অলিম্পিক কাজের এই প্রদর্শনীটি কুবার্টিন পরিবার কমিটি দ্বারা সমর্থিত হয়। মিজেন গ্যালারির মালিক মারিও রিজারদো সিনহুয়া নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন যে, প্রদর্শনীটি এক সপ্তাহেরও কম সময়ের জন্য প্রদর্শন করা হয়েছে এবং অর্ধেকেরও বেশি কাজ বিক্রি হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে প্যারালিম্পিক গেমস শেষ হওয়ার আগে সব কাজের নতুন মালিক খুঁজে পাওয়া যাবে।
রিজার্দো বলেছেন যে, মিজেন গ্যালারি ২০০৯ সাল থেকে একচেটিয়াভাবে আল্পসের কাজগুলির প্রতিনিধিত্ব করেছে। শিল্পী "প্যারিস অলিম্পিকের সুযোগকে শিল্প ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে" চেয়েছিলেন, তাই তিনি গত বছর অলিম্পিক গেমস প্রতিবাদ্য হিসেবে চিত্রকর্ম তৈরিতে মনোনিবেশ করেছিলেন।
ইতালীয় রিজার্দো রেনেসাঁ শিল্পের ইতিহাসের একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি ৩৫ বছর আগে মিজেন গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরে ধীরে ধীরে সমসাময়িক শিল্পের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি যে পেইন্টিংগুলি বিক্রি করেছেন তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্ডি ওয়ারহল এবং ফ্রান্সের জর্জেস ম্যাথিউর মতো বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পীদের কাজ।
অলিম্পিক গেমস শুরু হওয়ার আগে, প্যারিসের অনেক জাদুঘর এবং আর্ট গ্যালারি অলিম্পিক-থিমযুক্ত প্রদর্শনী খোলা হয়েছে, যা ৭৪ বছর বয়সী রিজারদোকে খুব আবেগপ্রবণ করে তুলেছে। তিনি বলেন যে, ব্রেক্সিটের পর থেকে শিল্পের রাজধানী হিসেবে প্যারিসের মর্যাদা অনেক শক্তিশালী হয়েছে। প্যারিস অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রস্তাবিত ধারণাটি শিল্পের জন্য একটি অলিম্পিক। যা একটি শহরের জন্য শিল্পের গুরুত্বকে সম্পূর্ণ প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেছিলেন: "শিল্প সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বহন করে। একটি শৈল্পিক পরিবেশ থাকা একটি শহরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিপুল সংখ্যক শিল্প জাদুঘরের অস্তিত্ব শুধুমাত্র শহরের জ্ঞান এবং সংস্কৃতির প্রতীক নয়, বরং এটি এখানকার সমৃদ্ধ ইতিহাসেরও প্রতীক।"
জর্ডান ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে চীনা পর্যটকদের অপেক্ষায় জর্ডান--জর্ডানের পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যমন্ত্রী আল-কাইসি
জর্ডানের পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যমন্ত্রী আল-কাইসি সম্প্রতি জর্ডানের রাজধানী ওমানে সিনহুয়া বার্তা সংস্থায় একান্ত সাক্ষাত্কারে বলেন, পর্যটন বিকাশের উদ্দেশ্য শুধু দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, বরং জনগণের মধ্যে বন্ধন উন্নীত করা। আমরা আশা করি যে, আরও বেশি চীনা পর্যটক জর্ডান সফর করবেন এবং জর্ডান ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির দূত হবেন।
কাইসি বলেছেন যে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের কারণে জর্ডানে আসা বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং জর্ডানের পর্যটন শিল্প নতুন বাজার অনুসন্ধান করছে। চীন ও জর্ডানের প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে এবং চীন হল নতুন বাজার, যা জর্ডানের বিকাশের জন্য উন্মুখ।
পর্যটন জর্ডানের অন্যতম স্তম্ভ শিল্প। কাইসি বলেন, জর্ডান পর্যটন সম্পদে সমৃদ্ধ, সংস্কৃতি, প্রকৃতি, ধর্ম, অ্যাডভেঞ্চার এবং বিনোদন সম্পদ সবই রয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১ লাখ স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। জর্ডানে প্রবেশ মানে একটি উন্মুক্ত জাদুঘরে প্রবেশ করা। যেখানে তারা প্রস্তর যুগ থেকে গ্রিক, রোমান ও ইসলামি সভ্যতার নিদর্শন দেখতে পারে।
জর্ডানের পর্যটন বিভাগের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে জর্ডানের পর্যটন খাতে রাজস্ব প্রায় ৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়। যা জিডিপির ১৪.৬ শতাংশ। কাইসি বলেন যে, জর্ডানের জন্য পর্যটন রাজস্ব বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চীনা পর্যটকদের আকৃষ্ট করার আরেকটি লক্ষ্য হল জর্ডান ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো।
চীন সভ্যতার মধ্যে বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষার প্রচার এবং মানব সভ্যতার অগ্রগতি প্রচারের লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগের প্রস্তাব করেছে। চীন ও আরব দেশের ভাষা, সঙ্গীত, খাদ্য ইত্যাদি ইতিহাসের গভীরে প্রোথিত এবং বিশ্ব সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পর্যটন প্রক্রিয়া চলাকালীন, দুই দেশের মানুষ একে অপরের ভাষা, সঙ্গীত, খাবার ইত্যাদি সম্পর্কে শিখতে পারে। যা তাদের একে অপরের বোঝা বাড়াতে সাহায্য করে।
কাইসি বলেন যে, জর্ডান বর্তমানে চীনা পর্যটকদের জন্য ভিসা-অন-অ্যারাইভাল নীতি প্রয়োগ করেছে। চীনা পর্যটকদের সুবিধাজনক পরিষেবা প্রদানের জন্য, জর্ডান ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন হোটেল এবং রেস্তোরাঁর মেনুকে চীনা ভাষায় অনুবাদ করে এবং চীনা ট্যুর গাইডদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে। জর্ডানের পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক পণ্য প্রচারের জন্য কাইসি অদূর ভবিষ্যতে চীন ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। জর্ডানের পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মন্ত্রণালয়ও একটি ব্যাপক পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে এবং চীনের সঙ্গে পর্যটন সহযোগিতা জোরদার করার জন্য উন্মুখ।
জর্ডানের পর্যটন বিভাগের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ৬.৩ মিলিয়ন পর্যটক জর্ডান ভ্রমণ করে। যার মধ্যে ১৪,৭৪৩ চীনা পর্যটক রয়েছে। এই বছরের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত, বিভিন্ন দেশ থেকে ২.৭৮৬ মিলিয়ন পর্যটক জর্ডান ভ্রমণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৭৩২৬জন চীনা পর্যটক রয়েছে।
স্প্যানিশ শিক্ষক: পূর্ব ও পশ্চিমী সভ্যতার মধ্যে এনকাউন্টারের পথ অন্বেষণ