চীনের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার প্রচারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা ঐতিহ্যিক সভ্যতার উন্নয়ন ও সম্প্রচার দেশের মধ্যে ব্যাপক প্রচলিত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে চীনের বিভিন্ন এলাকার অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের প্রচার কাজে অনেক যুবক মনোযোগী হয়েছে। তারা নিজে ওয়ার্কশপ চালু করা বা অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার তৈরিসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে চীনের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
আজকের অনুষ্ঠানে চীনের আনহুই প্রদেশের আনছিং শহরের পাইরোগ্রাফি হস্ত-শিল্পকর্ম প্রচার নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।
প্রতি সপ্তাহের ছুটিতে আনহুই প্রদেশের আনছিং শহরের লিংহু পার্কের কাছে একটি অস্থায়ী পাইরোগ্রাফি স্টলে দেখা যায় এর যুব-মালিক এবং তার সহকর্মীরা আন্তরিকভাবে রাস্তার আশেপাশে পর্যটক ও বাসিন্দাদের কাছে পাইরোগ্রাফির বুকমার্ক ও শুকনো লাউয়ের খোলে আঁকা শিল্পকর্ম তুলে ধরেন। বস্তুত তারা সবাই আনছিং নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২০২৩ সাল থেকে স্থানীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের উন্নয়ন ও নবায়ন করতে চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা, তারা ওয়ার্কশপ স্থাপন করেছেন এবং জৈব প্রযুক্তি দিয়ে সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার উন্নয়নে চেষ্টা করে আসছেন।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ আনছিং নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পাইরোগ্রাফি ছবির অনুশীলন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যা শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে আকৃষ্ট করে। পাইরোগ্রাফি ছবি চীনের ঐতিহ্যিক ছবি আঁকার পদ্ধতির অন্যতম। ছাত্রছাত্রীরা ওয়ার্কশপের কর্মীদের কাছ থেকে পাইরোগ্রাফি ছবি তৈরির পদ্ধতি শেখার সুযোগ পেয়েছে এবং এ ধারার ছবির ঐতিহ্যিক উত্তরাধিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছে। শ্রেষ্ঠ পাইরোগ্রাফি শিল্পকর্ম দেখার পর নিজেই সুন্দর পাইরোগ্রাফি ছবি আঁকতে চেষ্টা করে ছাত্রছাত্রীরা।