জনগণের কণ্ঠ- জনগণ যা চায়
‘পাঁচ পুত্রের গান’ এবং ‘সঠিক সময়, সঠিক স্থান এবং জনগণ ঐক্যের’ মাধ্যমে আমরা জনগণের অবস্থা এবং জনগণের শক্তি বুঝতে পারি। প্রকৃতপক্ষে জনমুখী হওয়ার অর্থ হল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মৌলিক স্বার্থকে উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করা। কনফুসিয়ানিজমের দৃষ্টিকোণ থেকে, জনকল্যাণের জন্য কাজ করতে চাইলে এবং জনগণের ভিত্তি মজবুত ও রাষ্ট্র সুশাসন অর্জন করতে চাইলে, প্রথমে ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত গোষ্ঠী হিসাবে জনগণকে বুঝতে হবে। জনগণের হৃদয়, মতামত ও অনুভূতি বোঝার ভিত্তিতে জনগণের চাহিদা পূরণের মাধ্যমেই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করা যায় এবং চিরকাল শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখ যায়।
তাহলে কিভাবে জনসাধারণকে বোঝা উচিত? ‘লিউ থাও’ গ্রন্থে থাইকং একবার রাজা ওয়েনওয়াংয়ের কাছে মানুষের হৃদয়ের গোপন কথা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: ‘পৃথিবীতে মানুষের হৃদয় প্রবাহিত জলের মতো। যদি তাদের আটকানো হয় তবে তারা থেমে যাবে। যদি খোলা হয়, তারা প্রবাহিত হবে। যদি তারা আলোড়িত না হয় তবে তারা পরিষ্কার থাকবে।" কীভাবে মানুষের হৃদয় পরিষ্কার করা যায়। কীভাবে জলের মতো স্বচ্ছ ও শান্ত থাকা যায়, সব জিনিস প্রতিফলিত করার জন্য আপনার অন্তর্নিহিত প্রজ্ঞা ব্যবহার করেন? থাইকং বলেন যে, স্বর্গের কিছু নিয়ম আছে এবং মানুষের কিছু স্বভাব আছে। মানুষ যদি শান্তি ও তৃপ্তিতে বাস করতে পারে এবং কাজ করতে পারে তাহলে পৃথিবী হবে শান্তিময়। সর্বোত্তম শাসন মানুষের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে এবং জনগণ অত্যন্ত স্ব-শৃঙ্খলাবদ্ধ, তাই তারা কিছু না করেই শাসন করতে পারে; জনগণকে শিক্ষিত করার জন্য পুণ্য প্রচার করুন এবং নৈতিক উন্নতির কারণে জনগণ স্বাভাবিকভাবেই সরকারি আদেশ পালন করবে, ঠিক যেমন ঈশ্বর কিছুই করে না কিন্তু সব কিছুকে পুষ্ট করতে পারেন এবং মানুষকে প্রাকৃতিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য কিছু দেওয়ার দরকার নেই।